বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দেড় দশক ধরে বর্তমান সরকারের নির্যাতন নিপীড়নে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত। আর্থিক অবস্থা বিপন্ন। এই অবস্থায়ও বিএনপি জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করেনি। কষ্ট করে হলেও এই কাজগুলি করে যাচ্ছি। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে তারপরও যতটুকু সম্ভব আমাদের সাধ্যের মধ্যে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। কারণ বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণে। বিএনপির রাজনীতি অন্য কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়। জনগণের সুখে দুঃখে পাশে থাকায় বিএনপির রাজনীতি।
তিনি গতকাল শুক্রবার নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে গরীব অসহায় শীতার্ত নারী পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে, হিমশিম খাচ্ছে। এখন গতকাল আবারো নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। এই দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই এই শীতে মানুষের কষ্ট লাঘবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা হচ্ছে, জেলে যাচ্ছে, প্রতিদিন কোর্টে যাচ্ছে এর মধ্যেও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এর অংশ হিসাবেই এই কনকনে শীতে কোনও দুঃস্থ মানুষ যেন শীতবস্ত্রের জন্য কষ্ট না পায় সেজন্য এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে। বিএনপি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম নগরীতেও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষ প্রচণ্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন লুটপাট, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করার ফলে মানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা মো. ইদ্রিস আলী, আলী আজম চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জু, হাজী মো. মহসিন, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান জুনু, নুর উদ্দিন সোহেল, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, মন্জুর মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবু মহসিন চৌধুরী, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর জাফর রাহুল, যুবদল নেতা ইদ্রিছ সবুজ প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন