শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তবে আন্দোলনে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত এলে অন্যায়কারীর প্রতি পাল্টা আঘাত করা, হাত তোলা নৈতিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও মিছিল পূর্ব বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আমাদের দল থেকে ১০ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার বিদায়ের পর কেমন সরকার দেখতে চাই তা আমরা ২৭ দফা রূপরেখায় উল্লেখ করেছি। তিনি বলেন, লুটপাট করার জন্য বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল প্লান্ট করেছে সরকার। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সময় বেশি দিন নেই, বলা বলি বন্ধ হয়ে যাবে। শত চেষ্টা করলেও এই সরকারকে রাখা যাবে না। সরকার ও প্রশাসন এক হয়ে লুটপাট করছে। কারণ এই সরকার ফ্যাসিস্ট ও অত্যাচারী। সরকারি আমলাদের বিদেশে ডজন-ডজন বাড়ির খবর বের হচ্ছে।তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সাফ কথা, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। রক্তচক্ষু ও হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। মরতে হয় মরবো। এরইমধ্যে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াবে। নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত এলে অন্যায়কারীর প্রতি পাল্টা হাত তোলা ও নৈতিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, চলমান ঐক্য ধরে রাখতে হবে। রাজপথের আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার হামলা-মামলা অধিকার কেড়ে নিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষ হাতে তুলে নিয়েছে। আন্দোলনের মালিকানা জনগণের হাতে চলে গেছে। আগামীর প্রতিটি কর্মসূচিতে উত্তর উত্তর সফলতার মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন