বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের শিল্পখাতে আবারও গ্যাসের দাম বেড়েছে। এতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১২ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকায় পৌঁছেছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম (সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ১৪ টাকা, ক্যাপটিভের (ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) দাম ৩০ টাকা, সারে ১৬, শিল্পখাতের মধ্যে বড় শিল্পে ৩০ টাকা, মাঝারি শিল্পে ৩০ টাকা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও অন্যান্য শিল্পে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে আগের মূল্য ছিল, প্রতি ঘনমিটার বিদ্যুতে (সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ৫ টাকা ২ পয়সা, ক্যাপটিভের (ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) দাম ১৬ টাকা, সারে ১৬, শিল্পখাতের মধ্যে বড় শিল্পে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা, মাঝারি শিল্পে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও অন্যান্য শিল্পে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা।
এর আগে গত বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১.৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১০.৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১.৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫.৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়।
এছাড়া আবাসিকে একচুলার দর ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিট প্রতি দর ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সার, চা শিল্প ও আবাসিকে গ্যাসের দাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন