পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর ছয়শ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার মামলার পর আসামি ধরতে বাড়িঘরে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে নগরীর মাদারবাড়িতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ তল্লাশির নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করছে। আতঙ্কে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। গতকাল কোতোয়ালী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এ নিয়ে দুইদিনে ২৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাজির দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশত বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে। নগর বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী জানান, মামলার পর থেকে পুলিশ প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের হামলা, গণহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপি নেতারা। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সভা-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দিলেও সেখানে হামলা করেছে। নির্বিচারে টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়েছে। এ ঘটনায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন পুলিশ অভিযানের নামে বাসাবাড়িতে নিপীড়নমূলক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোছাইন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ এস এম বদরুল আনোয়ার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ। তারা অবিলম্বে বাসাবাড়িতে তল্লাশি অভিযান বন্ধ, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন