সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম স্থানান্তরিত হতে ব্যর্থ হয়েছে এমন ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হযেছে, কমিশনে পত্রের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দেশের চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তবে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত প্রোগ্রামসমূহ যথারীতি চালু থাকবে।
কমিশনের পত্রের প্রেক্ষিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বিবেচনায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে আগামী ৩১ মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ হতে সকল প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। একইসাথে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত সকল অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ মর্মে বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং লিখিত অঙ্গীকার বিবেচনায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে আগামী ৩০ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে সকল প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। একইসাথে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত সকল অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ মর্মে বিবেচিত হবে।
গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়নি এমন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য ১১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নির্দেশনা প্রদান করে। উক্ত পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি থাকবে মর্মে বলা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম স্থানান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া আইনের ১২(১) ধারায় ‘কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকৃত সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করিতে ব্যর্থ হইলে, অথবা সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য ধারা ৯ এর কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হইলে, উক্ত সাময়িক অনুমতিপত্র বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকৃত সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ করিতে হইবে’ মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন