বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাশিয়ার আচরণ আমার তাজ্জব লেগেছে

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্টের নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ান জাহাজ উরসা মেজরে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশ আশা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রাশিয়ার এমন আচরণ তাজ্জব লেগেছে মন্ত্রীর কাছে। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাশিয়ার আচরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাজ্জব হয়ে গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার তো হাজার হাজার জাহাজ রয়েছে। আমরা রাশিয়াকে বলেছি, ৬৯টা জাহাজ যেগুলো নিষেধাজ্ঞায় আছে ওগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে তারা রুপপুর আনবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য পাঠাতে পারে। সর্বোপরি নিষেধাজ্ঞা আছে এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না। তিনি বলেন, আমার কাছে খুব তাজ্জব লেগেছে, রাশিয়া জেনেশুনে একটা নিষেধাজ্ঞার জাহাজ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। আমরা এটা আশা করিনি। তবে আমরা আশা করি, এখন রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা নেই এমন জাহাজে করে মালামাল পাঠাবে। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার একটা ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ গ্রহণ করতে পারি না।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানোর বিষয়ে রাশিয়া কোনো বার্তা দিয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে ওপরের লেভেলে কাজ করছি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পরই সাংবাদিকরা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চান, রাশিয়ার জাহাজ ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে যাচ্ছে কি না? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটু দেরি তো হবেই। এটুকু বলতে পারি, সেই জাহাজটিকে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়নি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতে খালাসের কথা বলা হচ্ছে। এরকম বার্তা আমাদের কাছে ছিল না। এটা একটা কর্মাশিয়াল ট্রানজেকশন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হলো আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং আশা করি সেটা হবে। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা বিষয়টা দেখবেন।
রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠাল। এ বিষয়ে মস্কোকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কি না ঢাকা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার সম্প‚র্ণ জানা নেই। তবে এটা আমি প্রত্যাশা করি, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেটা জানিয়েছে। তারা বিষয়টা ডিল করছে।

উল্লেখ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রঙ ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে বলে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়। অতপর ওই জাহাজ পণ্য নিয়ে রাশিয়া ফিরে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন