ঢাকায় প্রেমের পর সিলেটে এনে এক যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবা রয়েছেন কারাগারে। আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এসআই আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক জাবেদ আহমদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি জাবেদ আহমদ সিলেটের গোয়াইনঘাটের মধ্য জাফলং ইউনিয়নের আলম নগর গ্রামের দুলাল মিয়ার পূত্র। একই মামলায় তার পিতা দুলাল মিয়া আছেন কারাগারে। এই নিয়ে এই মামলার এজহারনামীয় তিন আসামির মধ্যে গ্রেফতার করেছে দুই জনকে থানা পুলিশ।

জানা যায়, গোয়াইনঘাটের মধ্য জাফলং ইউনিনের আলম নগর গ্রামের দুলাল মিয়ার পূত্র কাজের সুবাদে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। সেখানে ্ওই যুবতীর সঙ্গে তার সর্ম্পক প্রেমে গড়ায়। একপর্যায়ে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জাবেদ আহমদ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। মেয়েটি জাবেদের সাথে আসার সময় ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসেন ১২ আনা ওজনের। জাবেদ আহমদ যুবতীকে তার বাড়িতে নিয়ে এসে বিয়ের আগেই স্থাপন করেন শারীরিক সম্পর্ক এবং কৌশলে যুবতীর স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা হাতিয়ে নেন। ১০ জানুয়ারি সকালে জাবেদ আহমদ সিলেটে কাজী অফিসে নিয়ে যুবতীকে বিয়ে করবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে জাফলং এলাকার নির্জন একটি স্থানে ৪ থেকে ৫জন অজ্ঞাতনামা যুবকের হাতে তুলে দেন মেয়েটিকে। এসময় যুবকরা ধর্ষণের চেষ্টা করলে উক্ত যুবতী মুঠোফোনে পরিচিত একজনকে ফোন করলে ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন তিনি। তারপর মেয়েটি জাবেদ আহমদকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বললে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। এই ঘটনায় যুবতী গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষন অভিযোগে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম।