সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

অগ্নি নিরাপত্তার নিশ্চিতে জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরনের আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৯ পিএম

সারাদেশে অগ্নিকা-জনিত হতাহতের সংখ্যা কমাতে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে জাতীয় বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় সরকারকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান যাতে সকল মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে নিরাপত্তা স্থাপনা গড়ে তুলতে পারে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ফায়ার-সেফ গ্লেজিং ফর আর্কিটেকচার’ শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সেশনে তারা এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রাসহপার গ্রুপ এবং এফজি গ্লাস যৌথভাবে বাংলাদেশের বাজারে শট ফায়ার সেফটি গ্লেজিং বাজারজাত করতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, তারা রানা প্লাজা, তাজরীন ফ্যাশন, এফআর টাওয়ার, নিমতলী ও ছুড়িহাট্টার মতো অগ্নিকা-ের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, "বিল্ডিং কোড ও অন্যান্য নিয়ম না মানায় ঘটনাগুলো ঘটেছে। প্রতিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভবন ও কারখানার ওপর নজরদারি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ডা. সাব্বির পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থে সমস্ত সরকারী নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সরকারের বিভাগগুলিকে ভবন গুলোকে পর্যাপ্তভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান।

স্থপতিদের এখানে অনেক কাজ রয়েছে। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে মানসম্পন্ন কারখানা এবং বিল্ডিংগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। যদিও, স্থপতিদের তাদের গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যের চাহিদা মেটাতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এফজি গ্লাসের পরিচালক তারিক কাচওয়ালা সেখানে স্বাগত বক্তব্য দেন। প্যানেল আলোচনায় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, রানা প্লাজা এবং তাজরিন ফ্যাশনের পরে তারা তাদের পোশাক শিল্পে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশে ১৭০ টির বেশি লিড-সনদ প্রাপ্ত আরএমজি কারখানা রয়েছে যা বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এখন আমরা বিল্ডিং কোড অনুসরণ করি বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাজরীন এবং রানা প্লাজার ঘটনাগুলি শিল্পের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল যা অগ্নি নিরাপত্তা ইস্যুতে একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে।

স্থপতি রফিক আজম বলেন, ক্লায়েন্টদের চাহিদা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের আগে তাদের খরচের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। উচ্চ পণ্য মূল্য এখানে প্রভাব ফেলে। স্থপতি মামনুন মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, তারা সর্বদা অগ্নি নিরাপত্তা ইস্যু এবং নিয়মকানুন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন।

সাবেক পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, তিনি এফআর টাওয়ারের অগ্নিকা-ের মতো অনেক অগ্নিকা-ের নেতৃত্ব দিয়েছেন যা বর্ণনাতীত ঘটনা। তবে, আমি সকলকে জাতীয় বিল্ডিং কোড এবং অগ্নি নিরাপত্তা প্রবিধান মেনে চলার জন্য সকল প্রকার হতাহতের ঘটনা কমাতে অনুরোধ করছি বলে উল্লেখ করেন।

এমইপি কনসালটেন্ট ইঞ্জি. মো. হাসমোতুজ্জামান সবাইকে একই পেজে থাকার এবং কোডের সকল ত্রুটি দূর করে জাতীয় বিল্ডিং কোডের উন্নয়নে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, কোডটি সময়োপযোগী হওয়া উচিত এবং অবকাঠামোর আধুনিক নকশা বিবেচনা করা উচিত।

ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর বলেন, অগ্নিনিরাপত্তা পণ্য আমদানি করতে গিয়ে তারা কাস্টমসের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে, আমি উৎপাদকের পণ্যের গুণমান বজায় রেখে কম দাম নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি যাতে মানুষ পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত হয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেক্টরের উন্নয়নে তাদের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা আমদানির মাধ্যমে ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে।

গ্রাসহপার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রশিদ বলেন, আমাদের শিল্প ও ভবনের জন্য টেকসই এবং নিরাপদ অগ্নি প্রতিরোধক গ্লেজিং সলিউশন দিতে এফজি গ্লাসের সাথে হাত মেলাতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হওয়ার জন্য তিনি এফজি গ্লাসকে (ভারত) ধন্যবাদ জানান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন