রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের বার্ষিক পিকনিকের (বনভোজন) বাধ্যতামূলক চাঁদা আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বনভোজন আয়োজন কমিটি ২০২৩’র আহŸায়ক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু তৈয়বি এবং সহকারী অধ্যাপক আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. কামরুজ্জামান (কামরুল) সাক্ষরিত এক চিঠিতে চাঁদা পরিমান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, প্রফেসর ও পরিচালকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা, সঙ্গে অতিথি আনতে চাইলে ২ হাজার টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ও উপ-পরিচালকদের জন্য ৪ হাজার ও অতিথিদের জন্য ১৫শ’ টাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী পরিচালক ও জুনিয়র কন্সালটেন্টদের জন্য ৩ হাজার টাকা এবং তাদের অতিথির জন্য ১৫শ’, রেজিস্ট্রারদের জন্য ২ হাজার (অতিথি ১ হাজার), আবাসিক মেডিকেল অফিসারদের জন্য ১৫শ’ (অতিথি ১হাজার), আনরারী মেডিকেল অফিসারদের ১ হাজার (অতিথি ৮শ’), স্টুডেন্ট ডাক্তারদের জন্য ১ হাজার (অতিথি ৮শ’), কর্মকর্তাদের ১ হাজার (অতিথি ৮শ’), ২য় শ্রেণীর সকল সেবক সেবিকার জন্য ১হাজার ( অতিথি ৮শ’) তৃতীয় শেণীর কর্মচারীদের জন্য ৭শ’ (অতিথি ৫শ’) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ৫শ’ (অতিথি ৪শ’) নার্সিং স্টুডেন্ট বা বিএসসি স্টুডেন্টদের জন্য ৮শ’ অতিথিদের ৮শ’ ও ব্যাক্তিগত ড্রাইভারদের জন্য ৫শ’ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন বছরের উর্ধ্বের শিশুদের জন্যও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলে চাঁদা আদায়ের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক বলেন, পিকনিকের নামে এভাবে চাদাঁবাজি গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কিছু বলতেও পারছি না। প্রতিবাদ করলে রোষানলে পড়তে হয়। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এভাবে তালিকা করে চাঁদার অর্থ নির্ধারণ করে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে।
বনভোজন আয়োজক কমিটি, অর্থ উপ-কমিটি, পরিবহন উপ-কমিটি, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটি, ক্রীড়া উপ-কমিটি, রেজিস্ট্রেশন উপ-কমিটি, অর্ভ্যাথনা উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, র্যাফেল ড্র উপ-কমিটি নিয়ে বনভোজন আয়োজনে ৯টি কমিটি করা হয়েছে। শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিক এই উপকমিটি গত ৫ জানুয়ারি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন