খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, স্কুল ও আলিয়া মাদরাসার নতুন পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধকে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইতে বাংলার মুসলিম শাসকদের অবদানকে খাটো করা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাংলার মুসলিম বীরদের অবদান উপেক্ষা করা হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ইসলাম বিরোধী বিবর্তনবাদ শিখিয়ে তাদের ইসলামী বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে আঘাত করা হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমকামীতার দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এভাবে পাঠ্যপুস্তক প্রণেতারা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের হৃদয়ে চরম আঘাত দিয়েছে। এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বিতর্কিত সকল পাঠ্যবই বাতিল করতে হবে। নতুন পাঠ্যবই তৈরিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অন্যথায় এদেশের ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ রক্ষায় তাওহীদি জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ ও ধর্মহীন শিক্ষানীতি, বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি তার বক্তব্যে সুইডেনে স্টকহোমে তুর্কী দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রী সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী। সমাবেশের পর এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে আজাদ প্রোডাক্টস এর সামনে শেষ হয়।