খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন,ছাত্রদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি ইসলাম ও কোরআন সুন্নাহ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে ইনশাআল্লাহ কোরআন সুন্নাহ’র হুকুমত কায়েম হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। বর্তমানে হত্যা, দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয় ও অনিয়ম-বিশৃঙ্খলায় দেশ ডুবে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্দ্ধগতিতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। চলমান সকল সঙ্কট উত্তরণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে সামনে পথ চলতে হবে। দ¦ীন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল নবী-রাসূলকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অনেকে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমাদেরকেও জুলুম নির্যাতনের বাধা মোকাবেলা করে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ এ সব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল বিলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, ঢাকা সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সাবেক সভাপতি মুফতি হুজাইফা, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সোহাইল আহমদ, মাওলানা আজীজুল হক, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার। মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, সর্বত্র অনাচার, শোষণ, জুলুম ও নির্যাতন চলছে। দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্দ্ধগতিতে জনগণ নিষ্পেষিত। সাধারণ মানুষ আজকে কথা বলতে পারছে না। এ সমাজকে বদলাতে হবে। সমাজ বদলের কারিগর হচ্ছে ছাত্র সমাজ। তাই ইসলামী ছাত্র মজলিসকে এদেশের ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনে পরিবর্তন সাধন করতে হবে। উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে এক বিশাল র্যালী ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন মোড় হয়ে হাইকোর্ট মসজিদ গেটে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন