খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম-২০২৩ প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। নতুন পাঠ্যবইয়ে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন করা হয়েছে। এদেশের ব্রিটিশ পূর্ববর্তী মুসলিম শাসক ও ইসলামী সমাজব্যবস্থাকে খাটো করা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে এই বাংলার মুসলিম বীরদের ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের লেখা সঙ্কোচিত করা হয়েছে। ইসলামী বেশভূষা ও পোশাককে অবজ্ঞা করা হয়েছে। মাদরাসার পাঠ্যবইয়ে ইসলামী মূল্যবোধ পরিপন্থি লেখা ও ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্বাস পরিপন্থি বিবর্তনবাদ স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য করা হয়েছে। কোন অপশক্তির ইন্ধনে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মনে এমন সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও ইসলাম বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হচ্ছে তা সরকারকে অবশ্যই খাতিয়ে দেখতে হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বিজ্ঞান শিক্ষাকে সঙ্কোচিত করে ফেলেছে। মূলধারার শিক্ষাকে একধরণের কারিগরি শিক্ষায় রূপান্তরের ফলাফল দেশের জন্য শুভ ফল নিয়ে আসবে না। চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যে ধরণের উদ্ভাবক, গবেষক ও নেতৃত্ব দরকার নতুন শিক্ষাক্রম তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে। নতুন শিক্ষাক্রম এদেশকে শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলোর উদ্ভাবনী শক্তির বড় বাজারে পরিণত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্য এমন একটি শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যশীল হবে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অবিলম্বে পাঠ্যবইয়ের বিতর্কিত অংশগুলো সংশোধন করতে হবে। পাঠ্যবই প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ব্যক্তি ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম-উলামাকে অন্তুর্ভুক্ত করতে হবে। আমীরে মজলিস মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, মাওলানা তফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, অধ্যাপক আজিজুল হক, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, শাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন