শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ওমরায় গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৪১ এএম

পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গিয়ে অনেক বাংলাদেশী নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। পথ ভুলে হারিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় হারিয়ে যাওয়া ওমরাহ যাত্রীদের খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এজন্য সৌদির জেদ্দা অফিসের কর্মকর্তারা দেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন তারা।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৩টায় মক্কা নগরীর মিসফালার একটি হোটেল থেকে ওমরাহ যাত্রী রওশন আরা বের হন। কিন্তু পরে তিনি আর হোটেলে ফিরে না আসায় তার স্বামী শাহ জালাল বিষয়টি জেদ্দা হজ অফিসকে জানান। এ ঘটনার চার দিন পর তিনি স্ত্রীর সন্ধান পেতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

একইভাবে গত ২৩ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩টায় ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার মসজিদুল হারামে প্রবেশ করার সময় কাবা ঘরের সামনে থেকে নিখোঁজ হন চট্টগ্রামের চকবাজারের আরেক নারী ওমরাহ যাত্রী। রাবেয়া বসরী (৫৯) নামে ওই নারী ওমরাহযাত্রীর স্বামী নুরল ইসলাম চার দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পাওয়ায় পরে তারা বিষয়টি বাংলাদেশ হজ অফিসকে জানান।

এভাবে পবিত্র ওমরাহ পালনে গিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক বাংলাদেশী হারিয়ে ও নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। মক্কার হজ অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পবিত্র হজের পর সারা বিশ্ব থেকে পবিত্র মক্কায় ওমরাহ যাত্রীদের আগমন অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকেও অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন। এ কারণে পবিত্র কাবাঘর সংলগ্ন এলাকায় সব সময় ভিড় লেগে থাকছে। এ কারণে ওমরাহ যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন। বিশেষ করে যারা প্রথমবার পবিত্র কাবাঘরে গেছেন তারা চলাচলে বেশি অসুবিধায় পড়ছেন। ভিড়ের মধ্যে অনেকেই সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে গ্রুপভিত্তিক না চলে একা চলাচলের কারণেও বিপাকে পড়ছেন। পরে পথ চিনতে না পারায় হোটেলে ফিরতে পারছেন না।

এ দিকে গত ৮ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ওমরাহ কার্যক্রম শুরু হলে গত ছয় মাসে ১২৩ বাংলাদেশী ওমরাহ যাত্রী মারা গেছেন। তবে এ সময়ে কত ওমরাহ যাত্রী নিখোঁজ বা হারিয়ে গেছেন তার কোনো হিসাব নেই মক্কার হজ অফিসে। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে জেদ্দা অফিসের কাউন্সেলর (হজ) মো: জহিরুল ইসলাম গত ২৩ জানুয়ারি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে। ওই চিঠিতে তিনি নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে জানিয়েছেন, ওমরাহযাত্রী হারিয়ে যাওয়ার পর স্বজনরা তাদের খুঁেজ পেতে হজ অফিসে এলেও তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এ জন্য তিনি লোকবল ও জ্বালানি সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি ওমরাহযাত্রী হারিয়ে যাওয়া ঠেকাতে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন