শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর বিপর্যয় অব্যাহত। লাগাতার ক্ষতির মুখে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠী। সোমবারও সংস্থাটি ১ লাখ কোটি রুপির শেয়ার খুইয়েছে। সব মিলিয়ে শেষ তিনটি বাণিজ্যিক পর্বে (ট্রেডিং সেশন) আদানিরা হারালেন ৬৫ বিলিয়ন ডলারের মূলধন। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৬ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আদানি গোষ্ঠীর বিপর্যয় শুরু হয়েছে গত বুধবার থেকে। সে দিনই আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ভারতীয় এ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম।
এর পর থেকেই ক্ষতির মুখোমুখি হয় আদানি গোষ্ঠী। তাদের শেয়ারে ধস নামে। হু হু করে কমতে থাকে মূল্য। এমনকি, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের প্রভাবেই আদানি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় এক ধাক্কায় নেমে এসেছেন অষ্টম স্থানে। এক সপ্তাহ আগেও এই তালিকায় তিনি ছিলেন তৃতীয়।
এ মুহূর্তে আদানির সম্পদের পরিমাণ ৯ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। তিনি আর এক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর চেয়ে সামান্য এগিয়ে। অম্বানী এবং আদানির সম্পদের পার্থক্য ৪৩ হাজার কোটি টাকা। অম্বানী এই মুহূর্তে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন দশম স্থানে।
হিন্ডেনবার্গের যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন আদানিরা। রোববার আমেরিকান সংস্থার রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ৪১৩ পৃষ্ঠার জবাব লেখেন তারা। তাতে বেছে বেছে দেখানো হয়, আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। সেই সঙ্গে আদানিদের পাল্টা অভিযোগ, রিপোর্ট প্রকাশ করে আদানিদের বদনাম করার মাধ্যমে ভারতের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে হিন্ডেনবার্গ। কিন্তু আদানিদের এই উত্তর সত্ত্বেও শেয়ার বাজারে ধস অব্যাহত। সূত্র: আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন