মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সব আসন ক্ষমতাসীনদের

সিইসি’র দাবি ভোটার উপস্থিতি ১৫ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিএনপির ছেড়ে দেয়া সংসদীয় আসনগুলোতে গতকাল উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী ৬ আসনই আওয়ামী লীগের ঘরে গেছে। জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু) কার্যত ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন হয়ে গেছে। আর রাজনীতির রঙ পাল্টানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারাই ভোট করেছেন। নির্বাচনের ভোটারের উপস্থিতি ছিল নগণ্যই। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের দাবি নির্বাচনে গড়ে ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতোই তিনি সাফল্যের ডুগডুগি বাজাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আবু আসিফ আহমেদ প্রার্থী হন। আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। নির্বাচন কমিশন তার নামে বরাদ্দ করে মোটরগাড়ি প্রতীক। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে আসিফ নিখোঁজ হন। তাকে খুঁজে বের করার বদলে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয় আবু আসিফ আহমেদ ‘আত্মগোপনে’ রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল ওই আসনের উপনির্বাচনের নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরীন ভোট দিতে আশুগঞ্জ উপজেলার শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে (ভোটকেন্দ্র) ভোট দিতে যান। কিন্তু তাকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে নিজের ভোট দিতে গিয়ে দেখলাম একজন ভোটারের আঙুলের ছাপ নিয়ে অন্যজন ভোট দিচ্ছেন। আমাদের কর্মীরা পলাতক। ভোটের এ পরিবেশ দেখে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব কেন্দ্রেই একজনের ভোট আরেকজন দিচ্ছেন। এটা কি নির্বাচন? এটা ‘অসুস্থ নির্বাচন’। শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন নয়, সারাদেশের যে ৬টি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে সবগুলো আসনের ভোটের একই চিত্র। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নিখোঁজ প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরীনের বক্তব্য যেন সারাদেশে ভোটে চিত্র।

গতকাল বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শ‚ন্য হওয়া ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের ভোট হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে আনুমানিক ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে। আমরা টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর সারাক্ষণ দৃষ্টি রেখেছি। এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সংসদীয় আসন হোক আর স্থানীয় নির্বাচন হোক শতকরা ১৫ ভাগ ভোট পড়ায় নির্বাচন কমিশনার তৃপ্তির ঢেঁকুশ তুলেছেন। তাহলে যে ৮৫ ভাগ ভোটার ভোট দিতে যায়নি তাদের প্রতিনিধি কে? শতকরা ১৫ ভাগ ভোট কি কোনো নির্বাচনের মানদÐ হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের নামে কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশন যেন ছেলেখেলা শুরু করেছেন। তিনি কাজী রকিব উদ্দিন ও নূরুল হুদার পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।

৬ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহ না থাকলেও গণমাধ্যমগুলোতে দিনভর সচিত্র খবর প্রচার করা হয়েছে। সেসব খবরে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রে বিচিত্র সব কাÐ কারখানা। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং করে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহŸান জানাচ্ছেন। তবে এর আগে ভোটারদের কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, এলাকায় আগেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যাতে না যান সে জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে দিনভর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যেসব গণমাধ্যম কর্মী দিনভর এই সব আসনের উপনির্বাচনের খবর কভার করেছেন তারা জানিয়েছেন সরকার যে সব প্রার্থীকে সমর্থন করেছে তাদের বাইরে অন্যসব প্রার্থীর অনেক এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। গণমাধ্যম কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সকাল থেকে আশুগঞ্জ উপজেলার সাতটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের দেখা পাননি।

ইনকিলাবের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। সবকটি আসনেই ইভিএমে ভোট হয়েছে। সব কটি আসনের ভোটকেন্দ্র সারাদিন ছিল ফাঁকা, ভোটার উপস্থিতি ছিল একদমই কম। ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা অলস সময় কাটিয়েছেন। কোথাও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ক্রিকেট খেলে সময় কাটিয়েছেন। এ অবস্থায় কোথাও কোথাও মাইকিং করে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার জন্য আহবান করা হয়েছে। তবে তাতেও ভোটারদের তেমন সাড়া মেলেনি। ওইসব এলকার ভোটাররা বলছেন, সারাদিনে খুব বেশি হলে ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটার উপস্থিতির হার তুলনামূলক কম ছিল। আনুমানিক ১৫-২০-২৫ শতাংশ ইত্যাদি রকম হতে পারে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, ছয় আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো ভোট ডাকাতি হয়নি। আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। ছয়টি, চারটি জায়গায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। একটি ককটেল তাজা পাওয়া গেছে। দুই-একটা ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। মিডিয়ার তথ্যের সঙ্গে এই তথ্যের যথেষ্ট মিল আছে। তবে এটা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে নয়, বাইরে।

আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সকাল প্রায় ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ওইসব কেন্দ্রে এজেন্টদের কাগজ দেরিতে পৌঁছায় ভোট গ্রহণ দেরিতে শুরু হয়। সরাইল ও আশুগঞ্জের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রগুলোতে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া তেমন ভোটারদের দীর্ঘ কোন লাইন চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণের দু’ঘণ্টা পর্যন্ত সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৩৮ জন ভোটারের মাঝে এখন পর্যন্ত ভোট প্রদান করে মাত্র ৪০জন। একই সময়ে কালিকচ্ছ পাঠশালা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৪০০ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র ৭জন। আশুগঞ্জ শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে ১৬০০ ভোটারের মধ্যে ৮৮ জন এবং রওশন আরা জলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩১০০ ভোটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ভোট প্রদান করেন। এদিকে নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার নিজ এলাকার অরুয়াইল ইউনিয়ন ও পাকশিমুল ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রে বহিরাগতদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে কলারছড়ি এজেন্টদের সামনে ভোট দিতে হচ্ছে ভোটারদের। এমন কি ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য আঙুলের ছাপও মেলাচ্ছেন উকিল আবদুস সাত্তারের এজেন্ট। তারপর ভোটারের সাথে গোপন কক্ষে ঢুকে পড়েন। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা না গেলেও কেন্দ্রের বাইরে উৎসুক মানুষের ভিড় বেশি ছিল। তবে কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশ করতেই স্থানীয় এক যুবক কিছু যুবক-কিশোরকে নিয়ে ভোটারদের লাইনে নিয়ে দাঁড় করালেন। ভোটার কিনা জিজ্ঞাসা করতেই কিশোরসহ যুবকরা লাইন থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।

জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাষানী বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে সাংবাদিকদের বলেন, ভোট শুরু হওয়ার পর সরাইল উপজেলার সরাইল পশ্চিম প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা এম এ মুজিবকে পুলিশ তার নাম ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এছাড়া রাজাপুর, পানিশ^র, ছাদতলা কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দিয়েছে। এমনিতেই ভোট এবং নির্বাচনের প্রতি সাধারণ জনগণের অনীহা। ভয়ভীতি এবং বিরূপ আচরণের কারণে মানুষ ভোট না দিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরত গেছে। প্রায় ২০ জনের মতো এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র‌্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২ জন আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার ও ২ জন গ্রাম পুলিশ। উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, আসনের উপনির্বাচনে কোন উত্তাপ ছিল না। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। তবে ভোট শুরু হওয়ার পর দুপুর পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা অলস সময় পার করেছেন। ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিতি না থাকায় এ সময় আসনটির রাণীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভোটার কেন্দ্রে পুলিশ কর্মকর্তার ক্রিকেট খেলার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এতে ভোট কেন্দ্রের ক্ষতি হয়নি।
মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুর রহিম জানান, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ১৮৬। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১ হাজার ১২০ জন নারী-পুরুষ ভোট দেন। জাতীয় সংসদের এ উপনির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দায়িত্ব পালনরত র‌্যাবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে র‌্যাব। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খান বলেন, জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত পিয়নকে বের করা নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওদুদের সমর্থক আব্দুল হাকিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সামিউল হক (আপেল) এর মধ্যে বাগবিতÐা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় দুজন আহত হন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৮০টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। প্রার্থীদের দুয়েকটি অভিযোগ ছিল। এটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাৎক্ষণিক কেন্দ্র পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হলেও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। তবে কোনও কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বগুড়া-৬ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ভোট দেন শহরের হাসনা জাহান ভান্ডারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আশা করি, সব ভোটার ভোট দিতে আসবেন।

বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম তার এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছেন। ভোট দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত আমার ইউনিয়নে ভালো আছে। কাহালু নন্দীগ্রামেও পরিস্থিতি ভালো আছে বলে খবর পেয়েছি। আর বগুড়া সদরে ভোটের আগেই আশঙ্কা করেছিলাম- গ্যাঞ্জাম হতে পারে। পাঁচপীর ও খালিসপুর কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোটার উপস্থিতি খুবই কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি দাঁড়িয়েছি বলে ভোটারা এসেছেন না হলে কেউ কেন্দ্র আসতেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Milon Ahmed ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৭ এএম says : 0
এরকম ভোট করে রাষ্ট্রের টাকা নষ্ট না করে সেই টাকাগুলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকালে সাধারণ জনগণ উপকৃত হতো, ভোট করে সাধারণ জনগণের লাভ নেই, দুর্নীতিবাজদের বৈধতা তৈরি হয় ভোটের মাধ্যমে
Total Reply(0)
Jasim Uddin ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৮ এএম says : 0
এই নির্বাচন গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না। কারণ মাত্র ১৫থেকে ২৫ শতাংশ ভোটারের ভুট তাও আবার নিরবাচিত প্রার্থী সব ভুট পায় নাই তাহলে মাত্র ১০থেকে ১৫ শতাংশ ভোটারের ভুট পেয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়া কতটা যুক্তি যুক্ত। যেখানে ৭৫থেকে ৮৫ শতাংশ ভোটার ভুট কেন্দ্রে না যাওয়ার মানে প্রত্যাখ্যান করা।তাহলে ফলাফল কোন টা?
Total Reply(0)
Shakir Shan ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৮ এএম says : 0
৮৩৪ ভোটে হিরো আলমের হার।এটা হার নয় হারিয়ে দেয়া হয়েছে।অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওসি,ইউএনও,ডিসিদের হিরো আলমকে স্যার বলে ডাকতে হবে,সেটা তারা কখনই চাবে না।তাই তাকে সিস্টেমে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।মূলকথা ঘুরি তুমি যতই উড়ো,নাটাই আমার হাতে। হিরো আলমের হারে কষ্ট অনুভব করছি।
Total Reply(0)
Sheikh Bishal ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৮ এএম says : 0
ভোট নিরপেক্ষ হওয়াই সকলকেই ধন্যবাদ।মানুষকেও ধন্যবাদ আওয়ামীলীগের পাশে থেকে ভোট দেওয়ার জন্য,বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামীলীগের হৃদয়ে বসবাস করে।
Total Reply(0)
BM Bayzid Ahmed ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৯ এএম says : 0
নির্বাচন কমিশনার কাছে প্রশ্ন একশোর ভিতর ১৫ টি ভোটে কি হয় একটি গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধি করতে পারে? ধন্যবাদ
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন