বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিষন্নতায় আত্মহত্যা করেছেন শাবির এক শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:১২ পিএম

ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেয়ার ৫দিনের মাথায় আত্মহত্যা করেছেন মিনহাজুল আবেদীন নামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের এক শিক্ষার্থী। তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সালামতপুর গ্রামের মো. ফারুক উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিনহাজের মায়ের বরাত দিয়ে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিনহাজের এই শিক্ষক বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মিনহাজের মা ফোন দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন সকালে তারা ছেলের রুমে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখেন। তাদের ধারণা সে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মাহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। আমরা শুনেছি সে আগেও কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।'

মিনহাজুল আবেদীনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, গত শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, "আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছি, আবার পরীক্ষায় ফেইল করেছি। দুটোই অনুভূতি কেমন সেটা আমার জানা। আমি খালি পকেটে পুরো শহর হেঁটেছি, আবার পকেট ভর্তি টাকা সেই শহরেই উড়িয়েছি। আমি টানা ১৬ ঘণ্টা কাজ করে দেখেছি, আবার টানা ১৮ ঘণ্টা ঘুমিয়েও দেখেছি। আমি তীব্র প্রেম অনুভব করেছি, আবার বিচ্ছেদের তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেছি। জীবনের অনেক গুলো দিক আমার দেখা হয়ে গেছে। সব ক্ষেত্রেই আমি আসলে নিজেকে খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি আমার আসল অস্তিত্বকে। তাই মাঝে মাঝে হুমায়ূন আহমেদের মত আমি কল্পনায় আমার কবর দেখতে পায়। না, শ্বেত পাথরের না। জঙ্গলের জঞ্জালের ভেতর ছোট্ট ইট পাথরের একটা কবর। আর সেটার এপিটাফে লেখা "এখানে একটা নির্বোধ ছেলে ঘুমিয়ে আছে, যে মানুষকে ভালোবাসতো। একই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন," আচ্ছা, কেউ আকাশ দেখতে না পারার দুঃখে কেউ কি আত্মহত্যা করে?" অপর একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, "কেউ কি মৃত্যুর আগে স্নান করে? অন্যান্য দিনের মতন সাবধানে চুল আঁচড়ায় কেউ? কাজের ব্যাপারে মিটিং করে? প্রিয়তমাকে যত্ন করে চিঠি লিখে? আলমিরা থেকে পছন্দের পাঞ্জাবিটা বের করে পরে? আত্মহত্যা করবে জেনেও কেউ কি হেসে মুখে বাড়ি ফিরে?" এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে যশোর তার নিজ বাড়ির তার রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন