রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত সোমবার রাতে রোগীর স্বজনদের হাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার পর থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মবিরতিতে শুরু করেছে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। ঘটনার পর এক ঘণ্টা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় তারা। গতকালও জরুরি বিভাগের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ১০ মিনিট পর ইন্টার্নি চিকিৎসকরা আবার তালা খুলে নেয়।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগী এবং তাদের স্বজনরা। কয়েকজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। এসময় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা হামলাকারী রোগীর স্বজনদের গ্রেফতার ও তাদের স্বজনদের শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ইতি নামের এক নারী ভর্তি আছেন। সন্ধ্যায় স্বজনরা ইতিকে দেখতে আসেন। ওই সময় আবু নাইম পরাগ নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর কাছে স্বজনদের ভিড় দেখে গালাগালি শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাগি¦তÐা শুরু হয়। রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরাগকে মারধর করেন। এতে পরাগ ডান হাত ও চোখে আঘাত পান। তাকে হাসপাতালের ডক্টরস ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এদিকে পরাগ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ও রাতেই কর্মবিরতিতে যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক এ এফ এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরে রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রাতে হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসমাইল মজুমদার বাদী হয়ে শাহিন ও জিমিকে বিবাদী করে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় রোগীর ভাই শাহিন (২৫) ও স্বামী জিমিকে (৩০)। শাহিন নগরীর উপর ভদ্রা এলাকার মৃত আসাদের ছেলে ও জিমির বাড়ি নগরীর অলকার মোড়ে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নিজ বাড়ি নগরীর অলোকার মোড় এলাকার হাবিবুরের ছেলে জিমিকে (২৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন