মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৭.৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে সুইডেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:৪৭ পিএম

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে দুই দিনের সফর শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে ৭৯ মিলিয়ন ক্রোনা বা ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন।

এই অনুদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রান্নার জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, কক্সবাজারের পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়ন এবং শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের দক্ষতায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।

নিরাপদ জ্বালানি ও শক্তির জন্য এসব কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি)-এর যৌথ কার্যক্রম ‘সেফ এক্সেস টু ফুয়েল অ্যান্ড এনার্জি প্লাস, ফেইজ ২’ (সেফ+২) এর আওতাধীন।

রাষ্ট্রদূত লিন্ডে বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনে সেফ+২ প্রোগ্রামের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমি মুগ্ধ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমনের একটি প্রভাব পড়েছিল কক্সবাজারের বনভূমির একটি বড় অংশের ওপর। সেফ+২ এর মাধ্যমে বিস্ময়করভাবে শরণার্থী শিবিরগুলোর আশপাশের জায়গাগুলোতে সবুজায়ন ও বনায়ন পুনরায় হচ্ছে।’

রাষ্ট্রদূত লিন্ডে আরও বলেন, ‘এই যে শরণার্থীরা এখন পরিচ্ছন্ন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না করছে, এর মাধ্যমে বনভূমি এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকার কাজে জড়িত হচ্ছে। যা অসাধারণ একটি অর্জন। এখানে অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

প্রকল্পের আহ্বায়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ‘সুইডেনের সরকার ও এর জনগণের এই অনুদানের মাধ্যমে আমরা এক লাখ ৯০ হাজার শরণার্থী পরিবারকে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) দিতে পারব। এই পরিচ্ছন্ন জ্বালানি শরণার্থীদের সুস্থতা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। কেননা, এর মাধ্যমে নিশ্বাসের সঙ্গে কম ধোঁয়া ঢুকে এবং এটি বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও অন্যান্য সুরক্ষা ঝুঁকি রোধ করে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের একটি সফল পুনর্বাসন হবে এবং টেকসইভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমবে।’

এলপিজি ও উন্নত জ্বালানিবান্ধব রান্নার সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে লাকড়ির ব্যবহার ও এর সঙ্গে গাছ কাটার পরিমাণ কমানো যায়। এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত চার লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

পুরো প্রক্রিয়াটি আরও কার্যকরী হয় একই সময়ে গাছ লাগানো, পুনরায় বনায়ন এবং ঝিরি ও পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে। এই যৌথ কার্যক্রমে পরিবেশের উন্নয়ন ও কৃষিবিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণকে সাহায্য করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন