দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি কোনো নির্দেশনা দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্টকে এক প্রকার মুখ সামলে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির চিঠির উত্তরে নির্বাচন কমিশন শব্দ ব্যবহারে যত্নশীল হতে পরামর্শ দেয়। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।
রাষ্ট্রপতির প্রতি শব্দ ব্যবহারে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সেই চিঠিতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক সংস্থা হলো রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির প্রতি অন্যান্য সব সাংবিধানিক এবং আইনি সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনে বাধ্য।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করছি যে, অন্যান্য নিরপেক্ষ এবং সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর প্রতি মর্যাদাপূর্ণ অফিসের (রাষ্ট্রপতির কার্যালয়) কাছ থেকে যথাযথ নির্দেশনা আশা করছি। চিঠিতে বলা হয়, ইসিপি দেশের সংবিধান ও আইন মেনে চলে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজ ছিল নির্বাচন পরিচালনা করা। রাষ্ট্রপতি এবং গভর্নরের দায়িত্ব ছিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার জন্য সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখানে উল্লেখ করা অপ্রয়োজনীয় নয় যে, রাষ্ট্রপতি এবং গভর্নরের ভূমিকা যথাক্রমে সংবিধানের ৪৮(৫) ও ১০৫(৩) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার এখতিয়ার সংবিধান কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রদান করে না।
এর আগে লাহোরের প্রাদেশিক সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর লাহোর হাইকোর্ট কর্তৃক নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি চিঠিও প্রেরণ করেন আরিফ আলভি।
প্রেসিডেন্টের এমন চিঠির উত্তরেই এমন তীর্যক মন্তব্য করল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন