বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অবজ্ঞা-অবহেলায় কাটছে জীবন

প্রেরণার বাতিঘর কিংবদন্তি ভাষাসংগ্রামী অধ্যাপক আবদুল গফুর

রফিক মুহাম্মদ | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

‘মাগো, ওরা বলে,/সবার কথা কেড়ে নেবে/ তোমার কোলে শুয়ে/ গল্প শুনতে দেবে না।/ বলো, মা, তাই কি হয়?/ তাইতো আমার দেরী হচ্ছে। তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে/ তবেই না বাড়ী ফিরবো। কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত এ কবিতার পংক্তিমালার মতোই মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদেরই একজন অধ্যাপক অবদুল গফুর। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে যারা অগ্রণি ভূমিকা রেখেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর তাদের অন্যতম। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার মাত্র দু’মাস আগে পরীক্ষা বর্জন করে মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেম, ভাষাপ্রেমের এমন মহৎ আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত অত্যন্ত বিরল। অথচ ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পার হলেও এই বীর ভাষা সৈনিকের আজও যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। এই কিংবদন্তি ভাষাসংগ্রামীর জীবন কাটছে নিরবে-নিভৃতে, অবজ্ঞা আর অবহেলায়।

শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণীর জন্ম হয় না। দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখন জাতির কৃতি-সন্তানদের যথোচিত সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি না, তাঁদের মূল্যায়ন করি না। অনেকে অবজ্ঞা-অবহেলায় লোকচক্ষুর অন্তরালে অনাদৃত-অবহেলায় জীবন-যাপন করেন। অধ্যাপক অব্দুল গফুরও তেমনি একজন মহৎ গুণী ব্যাক্তি যিনি অনেক অবজ্ঞা-অবহেলায় অনেকটা অন্তরালে জীবন-যাপন করছেন। প্রায় শতবর্ষী (৯৫ বছর বয়স) এই ভাষা সৈনিকের মুখের ভাষাই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। স্মৃতি এখন তার সাথে প্রতারণা করছে। কাউকে হঠাৎ করে চিনতে পারছেন, মুহূর্তেই আবার চিনতে পারছেন না। মুখের কথাও লেগে লেগে আসছে, স্পষ্ট হচ্ছে না। রোগে-বার্ধক্যে তিনি এখন শয্যাশায়ী। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অথচ এই মহান ব্যাক্তির চিকিৎসা সহায়তায় রাষ্ট্র এগিয়ে আসে না, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই গুণিজনের কোনো খোঁজ-খবরও নেওয়া হয়না।

তার বড় ছেলে তারিক আল বান্না জানান, বর্তমানে তিনি রাজধানীর বনশ্রী-মেরাদিয়া ইয়ামাগাছা ঢাকা জাপান ফ্রেন্ডসশীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার দেহের লবণাক্ততা কমে গেছে। ইউরিন ইনফেকশন জনিত জটিলতা রয়েছে। এ ছাড়াও বার্ধক্যজনিত আরও কিছু জটিলতাতো আছেই।

প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক, লেখক, গবেষক ও রাষ্ট্রভাষা বাংলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধ্যাপক আব্দুল গফুর ও আমি একই বাসায় ছিলাম। উনি দ্বিতীয় তলায় এবং আমি নিচ তলায় ছিলাম। ওই সময় আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি, আলোচনা করেছি। আমরা উভয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন সরকারের সাফল্য কামনা করেছি। এরপর যত বার আমাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে, কথাবার্তা হয়েছে ততোবারই ১৯৪৭-এর দেশবিভক্তি, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তার কাছ থেকে স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছি। তার মতো মহৎ ও গুণী ব্যাক্তির যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন।

আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুরের জীবনব্যাপী সাধনা ও নিষ্ঠাপূর্ণ অবদান যেমন গৌরবময় তেমনি বিস্ময়কর। ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে কৈশোর জীবনেই তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিনি তার কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষাজীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করেছে যে প্রতিষ্ঠান সেই তমদ্দুন মজলিশের কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ আত্মনিবেদিত। আন্দোলন-সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকার সম্পাদনাসহ অন্যান্য কাজে তিনি সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জীবনে তার সাফল্য অনেক। শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-সাংবাদিকতা ও জ্ঞানচর্চায় তিনি অপরিসীম কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাইতো এদেশের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস-বুদ্ধিজীবী হিসেবে অগ্রসেনানীদের প্রথম কাতারে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল গফুরের নামও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, অধ্যাপক আবদুল গফুর একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করতে গেলে তাকে অস্বীকার করা যাবে না। তিনি আছেন, থাকবেন। প্রায় শত বছরের দীর্ঘজীবন তিনি পাড়ি দিয়ে এসেছেন। আমাদের জন্য, দেশের জন্য বহু অবদান রেখেছেন। তার মতো এমন মহান গুণী ব্যাক্তির দীর্ঘ হায়াত আল্লাহ দান করুন এই প্রার্থনা করি। সেই সাথে সরকারের পক্ষ থেকে তার যথাযথ চিকিৎসা সেবা দানেরও দাবি জানাই।

বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। সেই ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালারদের একজন অধ্যাপক আব্দুল গফুর। ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ এই সৈনিক আজীবন সংগ্রাম, ত্যাগ ও বিসর্জনের মধ্য দিয়ে জীবনাতিপাত করেছেন। কয়েকবার সরকারি চাকরিকে বিসর্জন দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। অধ্যাপক গফুরের মতো ব্যক্তি জাতির বাতিঘর স্বরূপ। তার মেধা, মনন, মহত্ত্ব, শ্রম, নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ, শিক্ষা-আদর্শ, সরল ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ জীবন-যাপন পদ্ধতি নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, জাতিগঠন ও উচ্চ মানবিক আদর্শে অনুপ্রাণিত করে। অথচ এই মহান ব্যাক্তিটি আজ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্র তার প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন করছে না।

অধ্যাপক আবদুল গফুরের দীর্ঘদিনের সহকর্মী দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মুনশী আবদুল মাননান বলেন, অধ্যাপক আবদুল গফুরের অবদান জাতীর জন্য অনস্বীকার্য। এদেশের ভাষা, স্বাধীনতা, ইতিহাস-ঐতিহ্যের সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তার মতো এমন গুণী লোকের অর্থাভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে এটা জাতীর জন্য লজ্জাজনক। তার মতো কৃতি-গুণিজনদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র সেটা অবহেলা করছে। এটা দঃখ জনক।

বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, প্রবীণ লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক আব্দুল গফুরের জন্ম ১৯২৯ সনের ১৯ ফেব্রুয়ারি (আনুমানিক)। দিনটি ছিল ফাল্গুন ও রমজান মাসের মঙ্গলবার। জন্মস্থান বৃহত্তর ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ী) জেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের এক কৃষক পরিবারে। পিতা ও মাতার নাম যথাক্রমে হাজী হাবিল উদ্দিন মুন্সী ও শুকুরুন্নেছা খাতুন। অধ্যাপক আব্দুল গফুরের শিক্ষাজীবন শুরু হয় পিতার প্রতিষ্ঠিত গ্রামের মক্তবে। এরপর পাবনা জেলার তালিম নগর জুনিয়র মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ফরিদপুর ময়েজ উদ্দিন হাই মাদ্রাসা থেকে ১৯৪৫ সনে অনুষ্ঠিত হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় তদানিন্তন অবিভক্ত বাংলা ও আসামের মধ্যে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা গভর্নমেন্ট ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে সরকারী নজরুল কলেজ) থেকে ঢাকা বোর্ডের ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করেন। ছাত্র জীবনেই তিনি পাকিস্তান আন্দোলন ও ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ফাইনাল অনার্স পরীক্ষার মাত্র দু’মাস আগে ভাষা আন্দোলন এবং ভাষা আন্দোলন সংগঠনকারী প্রতিষ্ঠান তমদ্দুন মজলিসের কাজে সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করায় অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এরপর ১৯৫৮ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে ইংরাজি বিভাগে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। পরে ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি (সমাজকল্যাণে) এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন।

অধ্যাপক আবদুল গফুরের কর্মজীবন শুরু হয় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। জীবনের শেষ পর্যায়েও তিনি সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তবে এর মধ্যবর্তী সময়ে তিনি দীর্ঘকাল অন্য পেশায় কমরত ছিলেন। ১৯৪৭ সালে ‘পাক্ষিক জিন্দেগী’তে তার সাংবাদিক জীবনের সূচনা। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’-এর সহ-সম্পাদক ও সম্পাদক, এরপর যথাক্রমে ‘দৈনিক মিল্লাত’ (১৯৫৭) ও ‘দৈনিক নাজাত’ (১৯৫৮)-এর সহকারী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর আদি পূর্বসূরী দারুল উলুম (ইসলামিক একাডেমী)-এর সুপারিন্টেন্ডেন্ট (১৯৫০-৬০) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি এক বছর সমাজ কল্যাণ অফিসার হিসেবে চট্টগ্রামে চাকরী করেন। পরে উক্ত চাকরীতে ইস্তফা দিয়ে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ (১৯৬৩-৭০) এবং ঢাকা আবুজর গিফারী কলেজে (১৯৭২-৭৯) সমাজকল্যাণের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘দৈনিক আজাদ’-এর বার্তা সম্পাদক, ১৯৭২-৭৫ ইংরাজি ‘দৈনিক পিপল’-এর সহকারী সম্পাদক, ১৯৭৯-৮০ ‘দৈনিক দেশ’-এর সহকারী সম্পাদক এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রকাশনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘দৈনিক ইনকিলাব’-এর সূচনা (১৯৮৬) থেকে অদ্যাবধি এর ফিচার সম্পাদক পদে কর্মরত রয়েছেন।

অধ্যাপক আবদুল গফুর যখন যে পেশায়ই নিয়োজিত থাকুন না কেন, সবসময়ই তিনি লেখালেখির মধ্যে ব্যস্ত জীবন অতিবাহিত করেছেন। তবে তার রচিত অধিকাংশ গ্রন্থই এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও ইসলাম, বিপ্লবী ওমর, পাকিস্তানে ইসলামী আন্দোলন, কর্মবীর সোলায়মান, সমাজকল্যাণ পরিক্রমা, কোরআনী সমাজের রূপরেখা, খোদার রাজ্য (শিশুতোষ গ্রন্থ), ইসলাম কি এ যুগে অচল, ইসলামের জীবন দৃষ্টি, রমজানের সাধনা, ইসলামের রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য, আসমান জমিনের মালিক (শিশুতোষ গ্রন্থ), শাশ্বত নবী, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, আমার কালের কথা (আত্মজীবনী গ্রন্থ), স্বাধীনতার গল্প শোনো (শিশুতোষ গ্রন্থ), ভাষা নিয়ে লড়াই (শিশুতোষ গ্রন্থ যন্ত্রস্থ) প্রভৃতি। এছাড়াও ইংরেজি ও বাংলায় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ইসলাম ও সমসাময়িক বিশ্ব সম্পর্কে তার আরও প্রায় এক ডজন পাণ্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, প্রফেসর আবদুল গফুর আমার পিতৃতুল্য একজন মহান জ্ঞানী পুরুষ। তিনি খুবই বড় মাপের সাংবাদিক কলামিস্ট হলেও আমার কাছে তিনি রোল মডেল। আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিবেশবিজ্ঞানী। অধ্যাপক আব্দুল গফুর আমাকে বুদ্ধিভিক্তিকভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, আমার যে ভূরাজনীতিতে পদচারণা সেটা শুরু হয়েছে তার পরামর্শে এবং নির্দেশনায়। কিভাবে লিখতে হয়, প্রবন্ধ, কলাম দেশ ও জাতির স্বার্থে সেটা আমি প্রফেসর আবদুল গফুর সাহেবের কাছ থেকে শিখেছি। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। আমি তার সুস্থ্যতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, অধ্যাপক আবদুল গফুর একজন মহিরুহতূল্য একজন মানুষ। তিনি শুধু বয়সে নয় জ্ঞানেও অনেক বড়। তার কাছ থেকে জাতি অনেক কল্যাণময় অনেক কিছু পেয়েছে। তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি তমুদ্দিন মজলিশ গঠন করেছেন, ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছেন। এমন মহান ব্যক্তি খুব কমই পাওয়া যাবে। আমি আশা করি যে তার দেখানো পথ, তার ভাবনা, আদর্শ অনুকরণীয়। তিনি আমাদের সকলের মুরুব্বী, জাতির মুরুব্বী। তার সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনা করি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
salman ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৯ এএম says : 0
Jara Original Vash soinik, tara aj Mullo hin...akhon notun Itihash AK Jon a e sob korse, r sobai Varatia
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন