অধ্যাপক আবদুল গফুর। আমার এবং অনেকের প্রিয় গফুর ভাই। একজন মানুষের বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা করতে গেলে কিছু রেফারেন্স বা কিছু দলিল দস্তাবেজ বা কাগজের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গফুর ভাইয়ের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে সেরকম কোনো তথ্যসূত্র হাতের কাছে পাওয়া যায় না। এটি আমাদের সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য, সেটি বলবে এ দেশের ইতিহাস। তবে গফুর ভাই আছেন। একটি জায়গায় তিনি আছেন এবং চিরদিন সেখানে থাকবেন। সেটি হলো, একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, নাম ‘সৈনিক’ এবং একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, নাম ‘তমদ্দুন মজলিস’। ‘তমদ্দুন মজলিস’ আজও আছে। কিন্তু ‘সৈনিক’ নাই। অনেক বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পদ-পদবি যাই হোক না কেন, এই গফুর ভাইই ছিলেন সেদিন পর্যন্ত তমদ্দুন মজলিসের প্রধান চালিকা শক্তি। এখনো তিনিই চালিকাশক্তি। তবে বার্ধক্যের ভারে আনত। অতীতের মতো সময় এবং এনার্জি দিতে পারেন না।
একটু আগে আমি রেফারেন্সের কথা বলছিলাম। গফুর ভাই সম্পর্কে লিখতে গেলে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স হবে সাপ্তাহিক সৈনিক। সৈনিকের মাঝেই তিনি বেঁচে আছেন, সৈনিকের মাঝেই তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন। বছরের পর বছর ধরে সাপ্তাহিক সৈনিক চালু ছিল। সেই সৈনিক তিনি সম্পাদনা করেছেন এবং নিজেও অনেক লেখা লিখেছেন। ঘটনাচক্রে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র এবং নগণ্য ব্যক্তির পক্ষেও সৈনিকে লেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু আজ সে সব রেফারেন্স পাব কোথায়? সুতরাং অধ্যাপক আবদুল গফুর ভাই সম্পর্কে যা কিছুই লিখি না কেন সেগুলো লিখতে হচ্ছে স্মৃতি রোমন্থন করে। আমাদের মস্তিষ্কে অনেকগুলো সেল আছে। তার মধ্যে একটি হলো মেমোরি সেল বা স্মৃতির প্রকোষ্ঠ। এই কুঠরীর নিয়মিত চর্চা হয় না। তাই সেখানে ধুলোবালি জমে। সেগুলো কিছুটা সাফসুতরো করতে পারলে স্মৃতির কিছু কিছু পাতা ভেসে ওঠে। আমিও সেই মেমোরি সেলকে কিছুটা ঝেড়েমুছে দু’একটি কথা বলার চেষ্টা করছি।
॥দুই॥
ফিরে যাচ্ছি অনেক পেছনে। যতদূর মনে পড়ে, তখন পঞ্চাশ দশকের শেষার্ধ। আমি তখনো কৈশোরের চৌকাঠ পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করিনি। জেলা স্কুলে পড়ার সময় মশিউল ইসলাম নামের একজন হালকা-পাতলা লম্বা যুবক আমাদের স্কুল অর্থাৎ বগুড়া জেলা স্কুলে আসেন। তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজের বিএ ক্লাসের ছাত্র ছিলেন। তার বগলে থাকত একগাদা সাপ্তাহিক পত্রিকা। নাম ‘সৈনিক’। তিনি আমাকে এবং আমার সহপাঠী বন্ধু আজিজকে একটি ছাত্র সংগঠনে রিক্রুট করেন। সংগঠনটির নাম ‘পাকিস্তান ছাত্র শক্তি’। সৈনিক পত্রিকায় গফুর ভাইয়ের লেখা দেখেছিলাম। জানলাম, তমদ্দুন মজলিস যে ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে, ছাত্র শক্তিও সেই একই ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে। সেই থেকেই সৈনিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তাম। একই সাথে আরও কয়েকটি বই পড়লাম, যেগুলো ছিল তমদ্দুন মজলিসের প্রকাশনা। তখন থেকেই গফুর ভাইয়ের লেখার সাথে পরিচিত। এই সময় আরও দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। একটি হলো ছাত্র শক্তি বগুড়া জেলা শাখার সম্মেলন। ছাত্র শক্তির তৎকালীন সভাপতি ফরমান উল্লাহ খান আমাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মুজাফফর আহমেদকে অনুরোধ করেছিলেন। ইনি সেই মোজাফফর আহমেদ, যিনি পরবর্তীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় অর্থ উপদেষ্টা হয়েছিলেন এবং আরো পরে টিআইবির বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
পঞ্চাশ দশকের একেবারে শেষে। বগুড়া থেকে ঢাকায় আসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স ক্লাসে ভর্তি হই। পরিচিতজনদের মধ্যে একমাত্র আমার আপন মামা ছিলেন ঢাকায়। প্রথমে উঠেছিলাম সেই মামার বাসায়, দক্ষিণ মৈশন্ডিতে। কয়েকদিন পর আমার পাশের রুম ভাড়া নিয়েছিলেন মরহুম মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। তিনি তখন সাপ্তাহিক ‘আজ পত্রিকার’ সম্পাদনা করতেন। ঢাকায় আসার পর স্বাভাবিকভাবেই আমার গন্ডি হয়ে ওঠে তমদ্দুন মজলিস এবং ছাত্র শক্তি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের আগে তমদ্দুন মজলিসের নেতা ও কর্মীরা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। সেই রাজনৈতিক দলটির নামকরণ হয়, ‘খেলাফতে রব্বানী পার্টি’। যদিও কোরআন ও সুন্নাহর শাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল রাব্বানী পার্টির মূল লক্ষ্য, কিন্তু তার আদর্শ বিধৃত ছিল মনীষী আবুল হাশিমের ‘রবুবিয়াত’ দর্শনের মধ্যে। সেই দর্শন প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে আবুল হাশিমের ঈৎববফ ড়ভ ওংষধস গ্রন্থে। (প্রিয় পাঠক, আমি সব কিছুই লিখছি আমার স্মৃতি থেকে। সেখানে ভুলচুকের অবকাশ রয়েছে। কোথাও কোনো ভুলত্রুটি ধরা পড়লে আপনারা, আশা করি, ক্ষমাসুন্দর চোখে সেটি গ্রহণ করবেন।) জনাব আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুসলিম লীগের জেনারেল সেক্রেটারি। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এই ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরই অন্যতম পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আবদুল গফুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসের বাইরে আমার প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে দুটি জায়গায়। একটি হলো, ১৯ নং আজিমপুর রোড। এখানে নিজ বাসভবনে বাস করতেন অধ্যাপক আবুল কাশেম। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। অধ্যাপক আবুল কাশেমের ফিজিক্স বইটি ছিল তখন সমগ্র বাংলাদেশের (তখন পূর্ব পাকিস্তানের) ফিজিক্সের ছাত্রদের নিকট অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় পাঠ্যপুস্তক। এই ১৯ নম্বরে একটি ছাপাখানা ছিল। নাম ‘আমাদের প্রেস’। এখান থেকেই ছাপা হতো সাপ্তাহিক সৈনিক। এসব জায়গায় দেখা হতো অনেকের সাথে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন অধ্যাপক আবদুল গফুর। ঢাকায় ধীরে ধীরে তমদ্দুন মজলিসের যাদের সাথে পরিচিত হলাম, তাঁদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম (পরবর্তীকালে বাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল), অধ্যাপক আসকার ইবনে শাইখ (সেই সময়ে বাংলাদেশের দুইজন শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের একজন), অধ্যাপক হাসান জামান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক), ছাত্র শক্তির প্রতিষ্ঠাতা ফরমান উল্লাহ খান, মওদুদ আহমেদসহ অনেকে।
॥তিন॥
রব্বানী পার্টি, ছাত্র শক্তি এবং তমদ্দুন মজলিসে অনেক চরিত্রই দেখলাম। তবে একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে গফুর ভাইয়ের তুলনা গফুর ভাই নিজেই। কারণ, ঐ দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি ছিলেন তুলনাহীন। সেটি হলো তার ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন। ব্যক্তিস্বার্থ, পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং বৈষয়িক উন্নতিকে তিনি দল এবং আদর্শের চরণতলে বিসর্জন দিয়েছিলেন। মজলিস এবং সৈনিকে ফুলটাইম সার্ভিস দেওয়ার জন্য তিনি লেখাপড়ায় সাময়িকভাবে বিরতি দেন। সেই যে ছাত্রজীবনে তার ছেদ পড়লো, সেটি আবার শুরু হয় অনেকদিন পর অন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সেটি ছিল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউট। নিউমার্কেট থেকে তৎকালীন ইপিআর (পরবর্তীতে বিডিআর বা বিজিবি) গেটের উদ্দেশ্যে সোজা পশ্চিম দিকে এগুতে থাকলে হাতের বামে আজিমপুর কবরস্থান ফেলে হাতের ডানে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট। এখান থেকেই গফুর ভাই মাস্টার্স করেন।
এখানে একটি মজার ঘটনা বলি। বিগত ১০/১৫ বা ২০ বছরে যারা গফুর ভাইকে দেখেছেন তারা তাকে সবসময় পাজামা-পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় দেখে আসছেন। তিনি যে কোনদিন শার্ট-প্যান্ট পরতেন সেটি আজ অনেকে কল্পনাও করতে পারবেন না। কিন্তু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারে পড়ার সময় তাকে আমি দেখেছি প্যান্ট এবং হাওয়াই শার্ট পরতে। অধিকাংশ সময় তিনি পরতেন সাদা প্যান্ট এবং নীল শার্ট। মাস্টার্স ডিগ্রি হাসিল করার পর এক সময় তিনি ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেন। সেই থেকেই তিনি পরিচিত হন অধ্যাপক আবদুল গফুর হিসেবে।
॥চার॥
গফুর ভাইয়ের ব্যক্তি চরিত্র সমালোচনার ঊর্ধ্বে। বাড়ি-গাড়ির কথা তিনি কোনদিন চিন্তাও করেননি। এই কিছুদিন আগেও তিনি গুলবাগের একটি বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি রিক্সা করে দৈনিক ইনকিলাব অফিসে যাতায়াত করতেন। এমন নির্লোভ, নিরহংকার মানুষ ২১ শতকের তৃতীয় দশকে আর একটিও কি খুঁজে পাওয়া যাবে? তিনি ভাষা আন্দোলন করেছেন সেই ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩/৫৪ সাল পর্যন্ত। অথচ, তাকে একুশে পদক প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কতইনা গড়িমসি ছিল। কেন এই গড়িমসি? কারণ, রাজনৈতিক বিশ্বাসে গফুর ভাই ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী নন। সেদিনও তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। আজও তিনি বিশ্বাসী নন। সেটিই তার জন্য কাল হয়েছিল। তারপরেও জনমতের চাপে পড়ে তাকে একুশে পদক দিতে সরকার বাধ্য হয়।
অর্থনীতিবিদ হিসেবে ডক্টর ইউনুস যেমন নোবেল পেয়েছেন, তেমনি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকও নোবেল পেয়েছে। অনুরূপভাবে, অধ্যাপক আবদুল গফুর ব্যক্তি হিসেবে যেমন ভাষা আন্দোলন করেছেন, তেমনি সংগঠন হিসেবে তার চেয়েও জোরেশোরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করেছে ‘তমদ্দুন মজলিস’। অনেক টালবাহানার পরে অধ্যাপক আবদুল গফুরকে একুশে পদক দেয়া হয়েছে। আজ এই ২০২২ সালে, বিলম্বে হলেও তমদ্দুন মজলিসকে একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য আমি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
শুধুমাত্র গফুর ভাই নন, তার সহযাত্রীরা ছিলেন অল্পতে তুষ্ট। মনে পড়ে ষাট দশকের কথা। সঠিক সাল আমার মনে নাই। গফুর ভাই তখন বিয়ে করেছেন। তিনি শান্তিনগরে দুই রুমের টিনের একটি বাসা ভাড়া করে থাকতেন। সেই দুই রুমের একটিতে তারা থাকতেন, আরেকটিতে আমি এবং ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান একটি চৌকিতে শেয়ার করে থাকতাম। তালুকদার মনিরুজ্জামান পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে আবির্ভূত হন। যতদূর মনে পড়ে, আমরা মুফতে থাকতাম, অর্থাৎ ভাড়া দিতাম না। একটি পাকা কুয়ার অর্ধেক ব্যবহার করতাম আমরা, আর বাকি অর্ধেক ব্যবহার করত অন্য একটি পরিবার। আমরা যাপন করতাম কত সহজ-সরল আনন্দময় জীবন।
বৈষয়িক উন্নতির কথা উঠলে ৫০ বছর আগে গফুর ভাই যে জবাব দিয়েছেন, ৫০ বছর পরেও সেই একই জবাব দিচ্ছেন। বলছেন, এগুলো সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহর ইচ্ছা থাকলে সহায়-সম্পদ হবে, না থাকলে হবে না। তার যে উল্লেখযোগ্য কোনো বৈষয়িক উন্নতি হয়নি, এজন্য তার মনে কোনো দিন কোনো আফসোস হয়নি।
গফুর ভাই সম্পর্কে লিখতে গেলে সেই সময়কার এবং আজকের দিনের অনেক কথাই মনে পড়ে এবং বলতে হয়। একটি কথা বলে এই লেখা শেষ করছি। মরহুম কবি ফররুখ আহমদ আমার চোখে এবং হাজার হাজার মানুষের চোখে ছিলেন অসাধারণ কবি। তিনি ছিলেন ইসলামী বিপ্লবের কবি। অনেকেই তাঁকে ‘ছোট নজরুল’ বলেন। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কবিতার মানের সমতুল্য ফররুখ আহমদের কবিতা। এত বড় একজন কবি, যিনি এই জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, তিনি চরম দারিদ্র্য এবং সুচিকিৎসার অভাবে পরকালে চলে গেছেন। যদি ফররুখ আহমদ ইসলামী রেনেসাঁর কবি না হতেন, যদি তিনি বাম এবং সেক্যুলার ঘরানার কবি হতেন, তাহলে অনেকের ওপরেই তিনি থাকতেন। দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ এই উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হিসেবে বরিত হতে পারতেন। কিন্তু তার তমদ্দুন মজলিস কানেকশন এবং ইসলামের প্রতি অবিচল আনুগত্যের কারণে তাকে সেই মর্যাদা দেয়া হয়নি। ঠিক একই কারণে অধ্যাপক আবদুল গফুরকেও যেখানে রাখার কথা ছিল সেখানে রাখা হয়নি।
যে জাতি তার নক্ষত্রমণ্ডলীকে স্বীকৃতি দেয় না, সেই জাতিকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসন পেতে অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন