শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

অধ্যাপক আবদুল গফুরের খোঁজ রাষ্ট্রের তরফে নেয়া হয়নি : প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন কি?

মুনশী আব্দুল মাননান | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

জাতীয় মুক্তিসংগ্রামী এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসেনানী অধ্যাপক আবদুল গফুর অসুস্থ। বার্ধ্যকজনিত নানা রোগব্যাধি ছাড়াও কিছুদিন আগে ইউরিন ইনফেকশনের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরই মধ্যে বাসায় ফিরেছেন। তবে সারাক্ষণ বিছানাতেই থাকতে হয়। অন্যের সহায়তা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। এমনকি পাশ ফিরতেও। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর ৯৪তম জন্মদিন। ইনকিলাবের মান্যবর সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের ইচ্ছা, এদিন যেন ইনকিলাব পরিবারের পক্ষ থেকে জাতির এই কৃতীসন্তানকে তাঁর বাসায় গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাঁর কথা মতো ইনকিলাবের আমরা কয়েকজন অপরাহ্নে তাঁর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হই। তিনি আমাদের দেখে রীতিমত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কী করবেন, কোথায় বসাবেন এ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমাদের যাওয়ার উপলক্ষ শুনে বারবার ধন্যবাদ জানান। সম্পাদক মহোদয়ের প্রতি জানান আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এরপর স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ইনকিলাবে তাঁর যোগদান, ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর স্মৃতি এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী আদর্শ বিস্তারে ইনকিলাবের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। ইনকিলাব তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে এবং হারানো গৌরব আবারো ফিরে পাবে, এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন।

আমরা তাঁর বাসায় যতক্ষণ ছিলাম, ইনকিলাবপ্রসঙ্গ ছাড়া তাঁর মুখে আর কোনো কথা ছিল না। ইনকিলাব শুধুমাত্র একটি দৈনিক সংবাদপত্র নয়, এটি একটি আদর্শ ও চেনতার নাম এবং একই সঙ্গে সেই আদর্শ ও চেতনার বাহকও বটে। এই হলো তাঁর প্রত্যয়, বিশ্বাস ও ঘোষণা। বলার অপেক্ষা রাখে না, ইসলামের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে অধ্যাপক আবদুল গফুর সারাজীবন কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ব্যক্তি-আদর্শের সঙ্গে ইনকিলাবের আদর্শের মিল রয়েছে। ইনকিলাবের কাছে তাঁর প্রত্যাশা ও নির্ভরতার এটাই মূল কারণ। প্রায় শতাব্দীব্যাপী তাঁর বিশাল জীবন পর্যালোচনা করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি আত্মস্বার্থ ও আত্মকল্যাণের চেয়ে সবসময় দেশ, দেশের মানুষ, তাদের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ইসলামকে তাদের অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে পছন্দ করেছেন এবং বিশ্বাস করেছেন, ইসলামই তাদের স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্যের রক্ষাকবচ। তাঁর চিন্তা-চেতনায় দেশ, জাতি ও ইসলাম দৃঢ়বদ্ধ ও একাকার হয়ে আছে। গত প্রায় ৫০ বছরে এ লেখকের সঙ্গে তাঁর যতবার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তাতে ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ কমই এসেছে। আসেনি বললেই চলে। সবসময় দেশ, জাতি, সমাজ, রাষ্ট্র, ইসলামÑ এসব প্রসঙ্গ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার পেয়েছে।

এই হলো অধ্যাপক আবদুল গফুরের পরিচয়। অসুস্থ ও উত্থানশক্তিরহিত হলেও সেদিন তিনি নিজের কথা একবারের জন্যও বলেননি। এ সময় তাঁর অর্থের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। তাঁর দেখাশোনা করার জন্য একজন দক্ষ নার্সের প্রয়োজন। প্রয়োজন দামি ওষুধপত্র এবং উপযুক্ত খাদ্যপথ্য। এ জন্য যে অর্থ দরকার, তাঁর সে অর্থের সংস্থান নেই। সেটা তিনি না বললেও আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এর আগে একটি লেখায় আমরা বলেছিলাম: ‘অধ্যাপক আবদুল গফুর জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জাতির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন, ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধভিত্তিক জনমানস গঠনে অনলস ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর এসব কাজের জন্য তিনি কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা করেননি। কর্তব্যবোধেই করেছেন। তাই বলে জাতি বা রাষ্ট্র কি তার জন্য কিছুই করবে না? খোঁজ পর্যন্ত নেবে না?’

আমরা আশা করছিলাম, রাষ্ট্রের পক্ষে তাঁর খোঁজখবর নেয় হবে। কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে কি-না দেখা হবে এবং সহায়তা করা হবে। অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সরকারের তরফে কেউ কোনো খোঁজখবর নেয়নি। সহায়তার প্রশ্নও তাই ওঠে না। তবে তাঁর পরিচিত-অপরিচিত অনেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। কেউ কেউ দেখতে বাসায় গিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, সরকারের কেউ তাঁর খোঁজ না নেয়ার পেছনে কি অবহেলা ও উপেক্ষা কাজ করছে? নাকি অধ্যাপক আবদুল গফুর কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কীভাবে তাঁর দিন কাটছে, তা সরকারের কারো জানা নেই? কারণ যাই হোক, এতে যে রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের ব্যত্যয় ঘটেছে, সে কথা বলতেই হবে।

অধ্যাপক আবদুল গফুর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগে পাকিস্তান আন্দোলনে ছাত্রকর্মী হিসেবে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। পরবর্তীকালে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি জড়িত হননি। রাজনীতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন হলেও রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। ভাষা আন্দোলন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র সৈনিকের সম্পাদনা করেছেন। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নেতা, এমপি, মন্ত্রী হওয়ার চিন্তা করেননি। এটা জাতীয় মুক্তিসংগ্রামী ও ভাষাসেনানী অধ্যাপক আবদুল গফুরের ‘দোষ’ বা ‘অপরাধ’ কি-না আমরা বলতে পারব না। অথচ, তিনি যদি রামপন্থী, বামপন্থী, এ রকম কোনো পন্থী হতেন, তাহলে মান-সম্মান, যশ-খ্যাতি ও অর্থকড়ি তাঁর পায়ে গড়াগড়ি করতো। আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পদক-পুরস্কার-সম্মাননা দেয়ার ব্যাপারে রাজনৈতিক বিবেচনা বিশেষ ভূমিকা রাখে। যে দল ক্ষমতায় থাকে, সে দলের অনুসারীদের বেছে বেছে পদক-পুরস্কার-সম্মাননা দেয়া হয়। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে লক্ষ করা যাচ্ছে। আগে কখনো কখনো ব্যতিক্রম ঘটলেও এখন দলানুগতদেরই পুরস্কৃত ও সম্মানিত করতে দেখা যাচ্ছে। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ইত্যাদি দেয়ার ক্ষেত্রে এমন লোকদেরও বাছাই করা হচ্ছে, যাদের তা লাভ করার যোগ্যতা নেই। কখনো কখনো বিতর্কিত ব্যক্তিদের সম্মানিত করা হচ্ছে। এতে আসলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পদক-পুরস্কারের মর্যাদা বলে কিছু থাকছে না।

শুধু তাই নয়, গুণীজনদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেয়ার রেওয়াজ আমাদের দেশে আছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল ছাড়াও আরো তহবিল আছে। এসব তহবিল থেকে প্রতিবছর সাহায্য-সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে অনেককে। কাদের দেয়া হচ্ছে, তা সকলে জানে না। এখানেও দল বুঝে, মুখ চিনে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অধ্যাপক আবদুল গফুরের মতো ব্যক্তি একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন অনেক পরে। যদিও তিনি ছিলেন ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের শুরুর দিকের সদস্য ও দীর্ঘদিনের নেতা। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি ভাষা আন্দোলন ও সৈনিক পত্রিকার সম্পাদনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়ে সার্বক্ষণিক কর্মী হয়েছেন। সেদিন তাঁর শিক্ষাজীবন ও ব্যক্তিজীবনকে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন তিনি ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য। এত বড় ত্যাগ ভাষা আন্দোলনের জন্য আর কোনো কর্মী বা নেতার আছে বলে আমাদের জানা নেই। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোদ্ধা। তাঁরা সেদিন তাদের সকল প্রচেষ্টা ও শ্রম উৎসর্গ করেছিলেন এ দেশের মুসলমানদের নিজস্ব আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য। সিলেট রেফারেন্ডামেও বঙ্গবন্ধুর মতো অধ্যাপক আবদুল গফুর অংশ নিয়েছিলেন। সেই অধ্যাপক আবদুল গফুরের খোঁজখবর রাষ্ট্র বা সরকার নেয়ার প্রয়োজন বোধ করে না, এই নিদারুণ সময়ে তাকে সাহায্য ও সহায়তা দেয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এর চেয়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে! অথচ, রাষ্ট্রের টাকা, সরকারের টাকা কতজনে, কতভাবে পেয়ে যাচ্ছে।

কথায় আছে, যে দেশে গুণীর কদর হয় না, সে দেশে গুণী জন্মায় না। এ কথার সত্যতা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। একটা সময় এদেশে গুণীজনের অভাব ছিল না। তাদের কদরও ছিল। এখন গুণীজনের সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। গুণীজনের কদরও তেমন নেই। অন্যদিক থেকে বললে কথাটা এই দাঁড়ায় যে, গুণীর কদর নেই বলেই গুণীর জন্ম হচ্ছে না। গুণীর সংখ্যা কমার কারণ এটাই। সেদিন একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে বলেছেন, একুশের শহীদরা যেমন জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, তেমনি জাতির গর্ব ও অহংকার। যদিও প্রকৃত গুণীজন পুরস্কার ও সম্মাননার আশায় কাজ করেন না। তবু পুরস্কার-সম্মাননা জীবনে নিরন্তর প্রেরণা জোগায়। বলাবাহুল্য, একুশের শহীদরা যথার্থই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির গর্ব ও অহংকার। যারা সেদিন ভাষার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির গর্ব ও অহংকার। অধ্যাপক আবদুল গফুর তাদের মধ্যেই পড়েন। তবে কেন তিনি অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকবেন?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গুণীজনদের সম্পর্কে আরো কিছু উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, আজকে যে কয়জন গুণীজন পুরস্কৃত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবদান রেখেছেন। কাজেই তাদের খুঁজে বের করা, সম্মানিত করা এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় ঘটনো প্রয়োজন, যাতে তারা বুঝতে পারে, কত ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে আমাদের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখানে গুণীজনদের খুঁজে বের করে সম্মানিত ও নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করানোর যে তাগিদ দিয়েছেন, সেটা আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। তাহলে অধ্যাপক আবদুল গফুরের মতো কৃতীরা অবহেলা-উপেক্ষার মধ্যে থাকবেন না। তুল্যমূল্য পাবেন। এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণীজনদের খুঁজে বের করা, তালিকা করা, খোঁজখবর রাখা এবং সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য সরকারের একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ থাকা প্রয়োজন। এই কর্তৃপক্ষ আন্তরিক ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করলে গুণীজনরা আমাদের দৃষ্টির সামনেই থাকবেন, আড়াল হবেন না। তারা কাক্সিক্ষত সম্মান ও মর্যাদা পাবেন। পাবেন প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে এদিকে দৃষ্টি দিলে এই মহৎ কাজটি সহজ ও সম্ভপর হতে পারে।

অধ্যাপক আবদুল গফুরের মতো বয়সি জাতীয় ব্যক্তিত্ব ও ভাষাসংগ্রামী দেশে খুব বেশি জীবিত নেই। তাঁর আর্থিক অসঙ্গতি ও অসামর্থের বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আবশ্যিক আর্থিক-সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করবেন, এমনটাই আমরা একান্তভাবে প্রত্যাশা করি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Md. Naimul Islam ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৩৩ এএম says : 0
অধ্যাপক আবদুল গফুর আমাদের জাতীয় মণীষা। তাকে আগামী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
Biddut Roy ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৩৪ এএম says : 0
অধ্যাপক গফুর স্যার ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। কিন্তু এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ খবর সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় না যা দুঃখজনক। স্যারের জন্য যথাযথ সম্মান দাবি করছি।
Total Reply(0)
Habib ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৩৪ এএম says : 0
নীতি, আদর্শ, সততা, নির্লোভ জীবনযাপন ও বিশ্বাসের বিমূর্ত প্রতীক অধ্যাপক আবদুল গফুর। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা উচিত।
Total Reply(0)
Jahanara Begum ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৩৫ এএম says : 0
অধ্যাপক আবদুল গফুর শুধু বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্যই নয়, বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি বিনির্মাণে সারাজীবন কাজ করে গেছেন তমদ্দুন মজলিসের মাধ্যমে।
Total Reply(0)
Jaker ali ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৩৬ এএম says : 0
স্যার বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বেঁচে থাকতেই উপযুক্ত সম্মান দিতে না পারলে জাতি হিসেবে তা হবে চরম লজ্জার। স্যারকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হোক।
Total Reply(0)
Kader sheikh ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৩৬ এএম says : 0
তাঁর মতো পান্ডিত্যপূর্ণ ও গভীর জ্ঞানের লোক বাংলাদেশে কমই আছেন। তিনি তমদ্দুন মজলিস থেকে বঙ্গবন্ধুকে ভাষা সৈনিক পদক দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করবেন এটাই জাতির প্রত্যাশা।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন