শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টেকনাফ রক্ষিখালীর ত্রাস গিয়াস বাহিনীর গুলিতে এক নারী গুরুতর আহত

টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৫:১৫ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফ রক্ষিখালী শীর্ষ সন্ত্রাসী গিয়াস বাহিনীর গুলিতে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার (১মার্চ) সকাল ১১টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নুরু সওদাগরের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

আহত নারী হ্নীলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রঙ্গীখালী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে ছমুদা বেগম (৩৫)।

গুলির আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা আহত নারীকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় এনজিও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভিকটিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন কর্মব্যরত চিকিৎসক।

ভিকটিমের ভাই জাকির হোসেন বলেন,রক্ষিখালীর ত্রাস গিয়াস বাহিনী আমার ভাই মুহাম্মদ তৈয়বকে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে গুলি করে হত্যা করেছে। ঐ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলাম। সেই মামলা আপোষ না দেয়াতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে গিয়াস বাহিনীর গিয়াসের নেতৃত্বে নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম প্রকাশ পুতিয়া ডাকাত,রবিউল আলম, আনোয়ার, গুরা মিয়াসহ ৭/৮জন মিলে নুরু সওদাগরের দোকানের সামনে আমার বড় ভাই সেলিমকে গুলি করেছে। এসময় ছমুদা বেগম সামনে পড়ায় গুলি লেগেছে তার পায়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে আনোয়ার বলেন,কিছুদিন আগে ঘর পুড়েছে, সেখানে কিছু আইডি কার্ডের কথা বলতে গেলে তারাই আমাদের হামলা করেছে।
অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনের মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা,মাদক,অপহরণসহ ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,গিয়াস এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কথা বললে বাড়িতে থাকতে পারবো না।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন