জাপানে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ভয়ংকরভাবে বেড়েছে। আত্মহত্যা রোধে সরকার বিশেষায়িত হটলাইন চালু করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত বছর জাপানে ৫১২ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে, যাদের বয়স ৬ থেকে ১৮ বছর। এর আগের বছর আত্মহত্যাকারী শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৭৩ জন।
গত বছর আত্মহত্যাকারী শিশুদের মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী ছিল ১৭ জন। তাঁরা সবাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। বেশির ভাগ শিশু চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কী কারণে শিশুরা আত্মহত্যা করছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে। যেসব শিশু মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের নির্দেশ দিয়েছে জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাপানে মার্চ মাসে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়। আর এ মাসেই শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার বেড়ে যায়। গত বছর মার্চ মাসে ৪৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিল। এ ছাড়া জুন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
জাপানে আত্মহত্যা একটি বড় ধরনের সমস্যা। তবে ২০১৯ সালে আত্মহত্যার হার কিছুটা কমেছিল। ওই বছর ২০ হাজার ১৬৯ জন আত্মহত্যা করেছিল। সম্প্রতি আবার আত্মহত্যা বেড়েছে জাপানে। গত বছর দেশটিতে ২১ হাজার ৫৮৪ জন আত্মহত্যা করেছে, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৫৭৭ জন বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারি, অর্থনৈতিক সংকট, মানুষের আয় কমে যাওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে আত্মহত্যার হার বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন