আহাদ আলী মোল্লা
ছেলেবেলায় মামার বাড়ি যেতাম
শীত সকালে রোদে বসে গেলাসে রস খেতাম
অনেক মজা পেতাম।
খেতাম খেজুর গুড়;
নলেন গুড়ের পাটালি আর নইটানা পুড়পুড়
চিবিয়ে কুড়মুড়।
নানি দিতেন রান্না করে টাটকা রসের ক্ষীর
সাবাড় করে পুরো থালা তবেই হতাম থির
খাওয়ার পরেই শীতের কাঁপন লাগতো
অমনি শুরু ছোটাছুটি ভয় পেয়ে শীত ভাগতো।
সুয্যি গেলে পাটে,
ভাঁড়ে ভাঁড়ে বাঁক সাজিয়ে মামা যেতেন মাঠে
তিনি তখন মাঠের সেরা গাছি
গাছ কেটেছেন ভাঁড় বেঁধেছেন আমিও কাছাকাছি
থেকেছি তার
কী কবো আর
হারিয়ে যাওয়া সেসব দিনের কথা;
স্মৃতিরা সব নড়েচড়ে
শীত আসে যেই মনে পড়ে
মামা বাড়ির সেই পুরোনো শীতের মধুরতা।
চাঁদের বুড়ি
এইচ এম মাহমুদ
নিঝুম রাতে জ্যোৎস্নালোতে
হাসে চাঁদের বুড়ি
ভুবনমোহি দুধসাদা রূপ
নেইকো কোন জুড়ি।
রাত্রি গভীর হলেই বুড়ির
মন ভোলান হাসি
জ্যোৎস্না হয়ে ঝরে পরে
গুচ্ছ রাশি রাশি।
নিশীথ কালো আঁধার চিড়ে
জ্যোৎস্না নামে ভূমে
রংতুলিতে শিল্পী আঁকে
লেখক কালি চুমে।
হৃদয় ছোয়া রুপটা তুলে
ভাবুক হৃদে ঝড়
জ্যোৎস্না ধোয়া বিশ্বটাকে
দেখি নয়ন ভর।
তিমির রাতে চাঁদের বুড়ি
হাসে মেলে দাঁত
জ্যোৎস্না রুপোল দেয় করে দেয়
বিশ্বধরা স্নাত।
রসের ফোঁটা
সৈয়দ মাশহুদুল হক
শীত এলেই খেজুর গাছে
মিষ্টি রসের ফোঁটা
বাঁশের চুঙ্গি বেয়ে বেয়ে
হাঁড়ি মাঝে লোটা।
সাত সকালে গাছি পাড়ে
রসে ভরা হাঁড়ি
দিনভর তা জ্বাল দিয়ে হয়
সুস্বাদু গুড় কাঁড়ি।
টাটকা রসে গাঁও-গেরামে
রাঁধে ক্ষির পায়েস
খড়কুটোতে আগুন জ্বেলে
খেয়ে করে আয়েশ।
রসের মৌসুম শীত ঋতুতে
খেজুর রসের স্বাদ
গাঁও-গেরামে মিলবে এখন
দিলাম সুসংবাদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন