রুমান হাফিজ : ফারিনের বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে। সারা বাগানজুড়ে মনপাগল করার মতো সুবাস। তা দেখে ভীষণ ভালো লাগে ফারিনের। ফারিন অবাক বিস্ময়ে আরো লক্ষ্য করে যে, বাগানে প্রায় প্রতিটি ফুলেই প্রজাপতি বসে আছে। আবার সারা বাগানজুড়ে আরো অনেকগুলো প্রজাপতি উড়াউড়ি করছে। রঙ-বেরঙের এসব প্রজাপতির গায়ের রঙ একটি থেকে অপরটি ভিন্ন। ফারিন এগিয়ে এসে একটা সুন্দর প্রজাপতির গায়ে হাত দিতেই সে দেখে প্রজাপতিটি আর প্রজাপতি থাকেনি! একদম পরীর রূপ ধারণ করেছে। হাতে জাদুর কাঠি, পিঠে ডানা, গায়ে অসাধারণ পোশাক। নিজের করা বাগানে পরী দেখে ফারিনতো রীতিমতো অবাক! এতোদিন শুধু গল্পে শুনেছে পরীর কথা, আর আজ একদম নিজের চোখেই দেখছে একেবারে কাছে থেকে। ফারিন আনন্দে-আত্মহারা হয়ে গেলো। আরেকটু কাছে এসে ফারিন বলল-
-তুমি আমার বাগানে আসায় আমি খুব বেশি খুশি হয়েছি।
Ñধন্যবাদ ফারিন! তোমার বাগানটি আমাদের পরীরাজ্যের সবার খুব ভালো লেগেছে।’ পরী উত্তরে বলে।
-‘তুমি আমার নাম জানলে কি করে?’
- আমি তোমার সবই জানি। আচ্ছা, তুমি কি আমাদের দেশে যাবে? তোমাকে সেখানে নিয়ে গেলে আমাদের রানী বেশ খুশি হবেন। যাবে আমাদের রাজ্যে...?
-‘হ্যা, অবশ্যই যাবো। তবে আমাকে এখানে আবার রেখে যেতে হবে।’
-‘ঠিক আছে, তুমি এ নিয়ে কোন চিন্তা করো না। তুমি এবার চোখ বন্ধ কর।’
পরীর কথামতো ফারিন চোখ বন্ধ করে। তারপর চোখ খুলে- সে তো অবাক! বাহ্্ বেশ চমৎকার পরীরাজ্য! অমন সুন্দর সব গাছপালা, হরেকরকম ফল-ফলাদি সব মিলিয়ে তার মনে হচ্ছে যেন সে কোন স্বপ্নপুরীতে পা রেখেছে। আসলেই- তো তাই! তখনি পরীর ডাক শুনে ফারিন সম্বিৎ ফিরে-পায়।
-‘চলো এখন আমরা তোমাকে আমাদের রানীর কাছে নিয়ে যাবো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন