স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। তবে সরকার রাজনৈতিক অধিকারে বাধা দিয়ে বিএনপিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ৭ জানুয়ারি বিএনপির ডাকা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে ওই ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিল বানচাল করা হয়েছে। একদিকে পুলিশ, অন্য দিকে সরকারদলীয় বাহিনী দিয়ে কর্মসূচি বানচাল করেছে। আগ থেকেই আওয়ামী লীগ হুমকি দিয়েছিল, বিএনপিকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। তিন অভিযোগ করেন, আজ (গতকাল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রজন্ম লীগ নামের একটি সরকার রাজনৈতিক অধিকারে বাধা দিয়ে সংগঠনের কিছু লোকজন এসে বিএনপির ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং একজন কর্মীকে মারধর করে। পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এসব আওয়ামী লীগের উস্কানি। তারা বিএনপিকে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ফেলতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায়। সরকার হয়তো অনুমতি দেবে না। তবে তারা আশা করেন, যথাসময়ে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সংসদের আইন প্রণয়নের নৈতিক অধিকার নেই, এই সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক। তখন থেকে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রবর্তিত হয়েছে। কারণ, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, বিভিন্ন হত্যাকা-ের ঘটনায় সরকার বিএনপিকে দোষারোপ করে প্রকৃত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সরকারদলীয় সাংসদ হত্যার পর প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি। বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন