বিনোদন ডেস্ক : জাজ মাল্টিমিডিয়ার নায়িকা হয়ে ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নুসরাত ফারিয়া। বেশ সম্ভাবনা নিয়েই তার আগমন ঘটেছিল। তবে সে সম্ভাবনা এখন প্রায় তিরোহিত হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত তার কোনো চলচ্চিত্র ব্যবসার মুখ দেখেনি। তিনি নিজেও দর্শক আকর্ষণ করতে পারেননি। উল্টো আলোচনায় আসতে বলিউডের ইমরান হাশমির নায়িকা হবেন বলে ‘মিথ্যাচার’ করে গত বছর তোপের মুখে পড়েন। তারপর কলকাতার একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে টিভি ইন্ডাস্ট্রিকেই বোঝায় বলে দাবি করেন! এছাড়া ফেসবুক ফলোয়ার দেখে বাংলাদেশে স্টার বিবেচনা করা হয়- এরকম কাÐজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। এসবই তার ক্যারিয়ারের শুরুতে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এখন পর্যন্ত তার অভিনীত আশিকী, হিরো-৪২০ এবং বাদশা সিনেমাগুলো মুক্তি পেলেও, কোনোটির মাধ্যমেই আশার আলো জ্বালতে পারেননি। সবগুলোই যৌথ প্রযোজনার। এগুলোতে তার নায়ক কলকাতার। বাংলাদেশের কোনো নায়ক নেই। সিনেমাগুলো আবার তামিল-তেলেগু সিনেমার নকল। ফলে বাংলাদেশের নিয়মিত সিনেমার দর্শক তাকে ঠিকমতো চিনে না। তারা মনে করে ফারিয়া কলকাতার নায়িকা। ফলে দর্শক তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই টিপ্পনি কেটে বলছেন, ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যা আর শুধু রূপ দিয়ে যদি চলচ্চিত্র নায়িকা হওয়া যেত, তবে চলচ্চিত্রে এতো শিল্পী সংকট দেখা দিত না। এ পর্যন্ত যত সুন্দরী চলচ্চিত্রে এসেছে, তারা সবাই নায়িকা হয়ে যেত। নায়িকা হতে হলে যে ভালো অভিনয়, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন আর নায়িকাসুলভ আচরণ প্রয়োজন তা ফারিয়ার মধ্যে নেই। ফলে অনিবার্যভাবেই দর্শক তাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এখন ফারিয়া যত তাড়াতাড়ি তার এ আচরণ বদলান, ততই মঙ্গল। তা নাহলে চলচ্চিত্রে তার পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। আর যৌথ প্রযোজনার সিনেমা দিয়ে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত নায়িকা হয়েছে, এমন নজির নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন