শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সোনালি আসর

ছড়া ছড়া ছড়া ছড়া ছড়া

| প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আফজাল আনসারী
হিমরজনী

খেজুর গাছে রঞ্জু ভাইয়া
কাঁপন ধরায় বুকে
রসে ভরা মাইটা কলস
দিলাম ছোকানুকে।
হাড় জিরজিরে বোনটি আমার
হিমে জড়োসড়ো
আগুন জ্বেলে হিম তাড়ানোর
খড় করেছে জড়ো।
ফুলী দাদির আশি বছর
ঠা-া তাহার রক্ত
ছাগল-কুকুর কুঁড়েঘরে
ওরাই দাদির ভক্ত।
ছাগল ছানা এক বিছানায়
দাদির সাথে থাকে
গতর গরম হবে আশায়
ছোকানুরেও ডাকে।
পিন্টু ভাইয়া মিছকা ফাজিল
বাবার সাথে আড়ি
লেখাপড়া শিকোয় তুলে
ঘুরে নানীর বাড়ি।
উদোম গায়ে ঐ যে শিশু
গরিব মায়ের কোলে
বাড়ির একটা গরম কাপড়
কেউ দিয়েছে ভুলে?
হিমরজনীর এই ছবিটা
কষ্টে করি শেষ
লক্ষ গরিব কাঁপছে শীতে
ধুঁকছে বাংলাদেশ!


মাহমুদুল আলম
শীত

শীতের হাওয়া ঠা-া হাওয়া
হাড় কাঁপানো শৈত্য
দিবা-নিশি শীতের চাদর
ইহাই শীতের দৈত্য।
গরম জামায় শীত কাটে না
আগুনের তা লাগে
সর্বঅঙ্গ থাকলে ঢাকা
ঠা-া দূরে ভাগে।
শীতের ফোঁটায় কাপড় ভেজে
একটু একটু করে
হাতের ছোঁয়ায় যায় শুকায়ে
যতই শীতে ভরে।
ঠা-া পানি বিষের মতো
গরম পানি ভালো
একটু রোদে গা শুকালে
হৃদে জ্বলে আলো।
এই তো হলো শীতের রীতি
প্রতি বছর বছর
কাউকে মারে কাউকে কাঁদায়
করে কচর-মচর।

ফজলে রাব্বী দ্বীন
হলদে পাখির ডানা

হলদে ডানা
কোথায় তোমার পাখি?
মটর দানা
আঁচল ভরে রাখি
একটু মুখে দাওনা
কেন কওনা কথা?
বৃষ্টিতে গান গাওনা
দিব ঝুমকোলতা
তোমার ঠোঁটে
নাচে পরাগরেণু
জবার বনে
বেজে উঠে বেণু
খুব সকালে
তাই তো ভাঙে ঘুম
কৌতূহলে
তোমায় দিলাম চুম।

নোশিন সাবাহ
স্বাধীন

সেই মানুষ যথার্থ স্বাধীন
যার জীবন বাধাহীন।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা
কোনো কিছুর নেই প্রতীক্ষা।
তার এসব মৌলিক অধিকার।
কেড়ে নেবে সাধ্য কার?
যার জীবনে নেই কোনো ভয়
সেই প্রকৃত স্বাধীন হয়।
যার জীবনে আছে নিরাপত্তাহীনতা
তার নেই কোনো স্বাধীনতা।
ছোট বেলায় যে পায় ¯েœহ
বড় হলে অত্যাচার করে না কেহ
তার চেয়ে স্বাধীন আছে কেহ?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন