স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে সরকার কোনো আপোষ করবে না। যে কলেজে মানসম্মত শিক্ষক নেই, লাইব্রেরি ও ল্যাবরেটরিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই, শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে হাসপাতালের শয্যা নেই সেই কলেজ চালানোর কোনো দরকার নেই। সরকার এ বছর চারটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে। যেসব কলেজ দ্রæত সময়ের মধ্যে নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে পারবে না আগামী শিক্ষাবর্ষে তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। একই সঙ্গে যেসব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সরকারি নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করার আহŸান জানিয়েছেন।
গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের কে-৭৪ ব্যাচের নতুন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমাইল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা: আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসির সভাপতি প্রফেসর শহীদুল্লাহ, বিএমএ সভাপতি ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আর্সলান, বিএমএর মহাসচিব প্রফেসর এহতেশামুল হক, স্বাচিপ-এর মহাসচিব ডা: এম এ আজিজ বক্তব্য রাখেন।
নতুন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার আহŸান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো চিকিৎসক হতে গেলে পড়ালেখাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয়ার প্রয়োজন নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটালে সুচিকিৎসক তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘আজ যারা মেডিক্যাল শিক্ষায় প্রবেশ করছ, ছয় বছর পর শিক্ষা শেষ করে গ্রামে গিয়ে নিজ পিতৃভূমির মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তোল। গ্রামের মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করবে।’
ইন্টার্নি চিকিৎসকদের রোগী ফেলে রেখে ধর্মঘটে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের প্রথম কাজ রোগীর চিকিৎসা করা। কোনো ভুল বোঝাবুঝির কারণে রোগী ফেলে রেখে অযথা ধর্মঘট করা কোনো মানবিক গুণাবলির মধ্যে পড়ে না। তিনি বলেন, কোনো আন্দোলন ছাড়াই সরকার ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন