বিশেষ সংবাদদাতা : ডিসেম্বর মাসে প্রায় ৬৭ হাজার চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। অবৈধভাবে এসব গ্যাস সংযোগ নেয়া হয়েছিল। তিতাস গ্যাস কোম্পানি জানায়Ñ একটি শিল্প, চারটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ৭৫ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইনসহ ৬৬ হাজার ৯০৪টি অবৈধ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। গত ডিসেম্বর মাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযানের অংশ হিসেবে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর গাজীপুরের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশের এলাকায় মোহাম্মদী রেস্তোরা, কুমিল্লা মায়ের দোয়া হোটেল, কালাম মিয়া হোটেল ও যমুনা বেকারীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মোবাইল কোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদী হোটেলকে ১ লাখ টাকা এবং কালাম মিয়া হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
২০ ডিসেম্বর ফতুল্লা এলাকায় মেসার্স তানিয়া টেক্সটাইল প্রাইভেট লিমিটেডের প্রায় এক কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়া থাকার কারণে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া আরএমএস-এ অবৈধ হস্তক্ষেপের জন্য জরিমানা এবং অতিরিক্ত বিল হিসেবে ৭৩ দশমিক ৫৭ লাখ টাকা ধরা হয়। জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৮৯টি অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ৮৯৫ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস কোম্পানির পরিচালক (উৎপাদন) মীর মশিউর রহমান বলেন, গ্যাস সঙ্কটের জন্য অবেধ সংযোগও অনেকাংশে দায়ী। এজন্যই আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এমনিতেই তিতাস গ্যাস কোম্পানি ১৮শ’ থেকে প্রায় ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে সার্বোচ্চ ১৪শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। এই ঘাটতির কারণে আবাসিক খাতে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগধারীরা।
মীর মশিউর রহমানের মতে, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো যখন বন্ধ থাকে, তখন স্থানীয় আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সমস্যা হয় না। সিএনজি স্টেশন চালু হলেই আবাসিক খাতে গ্যাসের প্রেসার কমে যায়। তখন এই সমস্যা দেখা দেয়।
গ্যাসের অবৈধ সঙ্কট প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলা জানায়, বর্তমানে অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব গ্রাহকরা অবৈধভাবে শিল্প ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে এবং ব্যবহারও করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন