শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

গাড়ির পার্টস, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন প্রতিভাবান দুই উদ্যোক্তাকে সম্মাননা

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রতিভাবান দুজন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এই সম্মাননা প্রদান করেছে। আমদানিনির্ভর গাড়ির পার্টস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রেসার প্লেট উৎপাদন করায় যশোরের মো. আখতার হোসেন এবং সাভারের বাইপাইল এলাকায় মো. আনোয়ার উদ্দিনের শতভাগ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের কারণে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
গতকাল বণিক বার্তা এবং বিআইডিএস আয়োজিত ‘প্রতিভাবান উদ্যোক্তা সম্মাননা-২০১৬’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উদ্যোক্তাদের সম্মননা তুলে দেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল রুমে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. কাজী আলী তৌফিক বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এসব উদ্যোক্তাতের অবদান অনস্বীকার্য। উদ্যোক্তাদের সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে উৎসাহিত করতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি এদেরকে বেড়ে উঠার জন্য আর্থিক ও অবকাঠামো সুবিধা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
বণিক বার্তা সম্মাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক ও বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা।
অনুষ্ঠানে বলা হয়Ñ মো. আখতার হোসেনের মেসার্স এনায়েত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফাউন্ড্রি যাত্রা শুরু ১৯৮৬ সালে। একটিমাত্র লেদ মেশিন দিয়ে শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৫টি লেদ মেশিনসহ ব্যবসা স¤প্রসারণ করেছে যশোর বিসিক ছাড়াও শহরে রয়েছে আরো দু’টি কারখানা। তার এসব কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে গাড়ির ড্রাম, হপর্স, পেসারপ্লেট, ফ্লাইহুইল, গিয়ারবক্স, মেকানিক্যাল জেকসহ ৩৫ ধরনের কৃষি ও মোটর পার্টস। যেগুলো আগে আমদানি হতো ভারত ও পাকিস্তান থেকে।
মো. আখতার হোসেন বলেন, তার কোম্পানির পার্টস শীর্ষস্থানীয় পরিবহন বিশেষ করে ঈগল, হানিফ, একে ট্রাভেলস্, শ্যামলিসহ বিভিন্ন গাড়িতে ব্যবহার হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ার পর এ ব্যবসায়ে যুক্ত হয়ে বছরে তিন কোটি টাকার মেশিনারিজ ও পার্টস বিক্রি করেছেন।
এইমকো ফুটওয়্যার লিমিটেডের মালিক মো. আনোয়ার উদ্দিন হোসাইনী বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে কোনো ধরনের চাকরিতে যোগদান না করে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। মূল্য সংযোজন বিষয়টি তার মননে স্থান করে নেয়। এজন্যই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকেই বেছে নেন। ২০০২ সালে বন্ধ থাকা লেদার সু কারখানা ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। মাত্র ১০ জন শ্রমিক নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ৩৫০ জনের বেশি নিয়োমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। শতভাগ রফতানিমুখী এ কারখানাটির মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকার বেশি আয় করছে। মো. আনোয়ার উদ্দিন হোসাইনী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে এক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান আর রফতানি আয় তিনগুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন