রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

চট্টগ্রামে আমেরিকান পিস্তলসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার যুবলীগ নেতার অস্ত্রসহ আটক ২

| প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে আমেরিকার তৈরি পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলিসহ কথিত দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করেছে র‌্যাব। অন্য দিকে যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কথিত বৈধ বিদেশি রাইফেল ও ৫৬ রাউন্ড গুলিসহ তার দুই সহযোগীকে আটকের ঘটনায় তোলপাড় চলছে।
র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, আকবরশাহ বাজারে মালেক সওদাগরের খাবার হোটেলে কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে শনিবার রাতে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেজর এস এম সুদীপ্ত শাহীন। অভিযান পরিচালনাকালে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সময় মো. সোহেল রানা ওরফে সোহেল (৩০) ও মো. আব্দুর রহিমকে (২৫) হাতেনাতে পাকড়াও করে র‌্যাব। এ সময় আসামিদের দেহ তল্লাশি করে একটি ইউএসএ তৈরি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন, চার রাউন্ড গুলি এবং আসামিদের সাথে থাকা একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এদিকে হাটহাজারী থানার চৌধুরীহাট এলাকা থেকে একটি বিদেশি রাইফেল ও ৫৬ রাউন্ড গুলিসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার শফিউল বাশার রনি (২৮) ও সোহেল রানা (৩২) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তৌফিকের দাবি, ওই অস্ত্র তার লাইসেন্স করা। অস্ত্রটি অন্য কেউ বহন করতে পারবে না তা তিনি ‘জানতেন না’।
যুবলীগ নেতা তৌফিক চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শনিবার বিকেলে চৌধুরীহাটের ‘মেসার্স স্টার অটোপার্টস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শাহেদা সুলতানা জানান। অস্ত্রধারীদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা রাইফেলটি পয়েন্ট টু টু বোরের জিএসজি-ফাইভ অটোমেটিক মডেলের বলে র‌্যাব জানায়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রনি হাটহাজারী থানার আমান বাজার এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন রানা নারায়ণগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে আমান বাজারে থাকেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীও আমান বাজারের বাসিন্দা। কাউন্সিলর তৌফিক সাংবাদিকদের বলেন, রনি তার চাচাত ভাই এবং রানা ভাগ্নে। বিকালে ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে বেরোনোর পর আমি সামনের গাড়িতে উঠি। পেছনের গাড়িতে ওরা ছিল। আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রটিও ওই গাড়িতে ছিল।
এ বিষয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা শাহেদা সুলতানা বলছেন, যারা গ্রেফতার হয়েছে অস্ত্রটি তাদের নয়। অন্য কারো অস্ত্র বহন করা বেআইনি এবং মামলাযোগ্য অপরাধ। অস্ত্রের লাইসেন্সের একটি ফটোকপি তারা দেখিয়েছে। ওই লাইসেন্সও মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ছাড়া লাইসেন্স থাকলেও ৫০ রাউন্ডের বেশি গুলি বহন করা যায় না। তাদের কাছে ৫৬ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন