জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ২০১৬-এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর এম.পি এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটনো বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতিতে দুরূহ হয়ে পড়েছে। বন্ধ প্রকোষ্ঠে শিক্ষার্থীরা বন্দী। স্বল্প পরিসরে শিক্ষার্থীরা সীমাবদ্ধ থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণভাবে হচ্ছে না। একইভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিরাজ করছে। আর এই বৈষম্য দূর করতে সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। সমাজে সাংস্কৃতিক চর্চা যত বৃদ্ধি পাবে মানবিক সমাজ ততই পরিপূর্ণতা লাভ করবে। তিনি আরো বলেন, পাক-বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে শিল্প সাহিত্য চর্চার মূলকেন্দ্র ছিল তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ। ইতিহাস কখনই জগন্নাথ কলেজের অবদান এড়িয়ে যেতে পারবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে প্রতিভা ও সম্ভাবনা রয়েছে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এ সময় তিনি এ ধরণের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সভাপতির বক্তব্যে জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে বিগত কয়েক বছরে সংগীত বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ ও চারুকলা বিভাগের আবির্ভাবের ফলে এটা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন বিভাগগুলোর কর্মকাÐ স¤প্রসারণের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হতে সহযোগিতা সবসময় কাম্য। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদযাপন কমিটি ২০১৬-এর আহŸায়ক ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি রবীন্দ্রসংগীত, লোকসংগীত ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোগিতা এবং ২৫ জানুয়ারি উচ্চাঙ্গসংগীত, নজরুলসংগীত, আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন