খুলনা ব্যুরো : খুলনা জেলা কারাগারে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মহানগর হাকিম মো: আমিরুল ইসলামের আদালতে দাখিল করা এ চার্জশিটে ৬ জনকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, ১১/৩ নম্বর ভৈরব স্ট্যান্ড রোডের বাসিন্দা মৃত মুন্সি বদিউজ্জামানের ছেলে খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ সাহারুজ্জামান মর্তুজা (৬০), দৌলতপুরের দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার খোকন সড়কের বাসিন্দা শেখ সামছুর রহমানের ছেলে শেখ আকবর হোসেন (১৯), সোনাডাঙ্গা থানাধিন শিরিশ নগরের মোহম্মাদ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আ: সাত্তার হাওলাদারের ছেলে মো: সাদ্দাম হোসেন (২৬), দৌলতপুরের পাবলা নতুন রাস্তার মোড় এলাকার মো: মোসলেম আকনের ছেলে মো: আলম আকন ওরফে ন্যাটা আলম (৩৫), পাবলা কেশব লাল রোডের বাসিন্দা মনিরুজ্জামানের ছেলে মো: নাজমুল হোসেন (২৭) ও সদর থানাধিন লোয়ার যশোর রোডস্থ শিল্প ব্যাংক ভবন এলাকার বাসিন্দা মৃত আবু সাঈদের ছেলে মোঃ সৌরভ (২২)। এদের মধ্যে সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও আকবর পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই টিপু সুলতান। এছাড়া চার্জশিটে ১৮ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, খোড়া লিটন নামে খুলনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ফাঁসির আসামি জেল কোডের বাহিরে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দাবি করে। তার এসকল অনিয়ম ও বেআইনি দাবি জেল সুপার মো: কামরুল ইসলাম এবং জেলার মো: জান্নাতুল ফরহাদ মেনে নেয়নি। এতে খোড়া লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে তার গডফাদার সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সাথে এ বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া জেল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন টেন্ডার ও কাজে সাহরুজ্জামান মর্তুজা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। তাকে অনৈতিকভাবে সহযোগিতা না করায় জেল কর্তৃপক্ষের ওপর তার ক্ষোভ ছিলো। তাই ঘটনার আগের দিন ২০১৬ সালের ৮জুলাই খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ঘাট এলাকায় সাহারুজ্জামান মর্তুজার উপস্থিতিতে কারাগারে বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয় বলেও চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৯ জুলাই রাত পৌনে ৮টার দিকে খুলনা জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে একটি বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো কারা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় রাতেই জেল সুপার মো: কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন (যার নং ০৬)। এরপর পুলিশ এ মামলায় মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৬), মো: আলম আকন ওরফে ন্যাটা আলম (৩৫), মোঃ নাজমুল হোসেন (২৭), মোঃ সৌরভকে (২২) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন