বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহিত্য

নতুন বইয়ের পসরায় সজ্জিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭

| প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুতুবউদ্দিন আহমেদ : বাঙালি জাতির জীবনে ফেব্রুয়ারি কেবল ঘুরেফিরে আসা একটি নির্ভেজাল সাদামাটা মাস নয়। পৃথিবীর অন্যান্য জাতির জীবনে যেভাবে ফেব্রুয়ারি আসে বাঙালির জীবনে সেভাবে সাটামাটা রূপ নিয়ে ফেব্রুয়ারি আসে না। বাঙালি জাতির দুয়ারে ফেব্রুয়ারি আসে ভিন্ন আবহ নিয়ে, ভিন্ন চেতনা নিয়ে, ভিন্ন উম্মাদনা নিয়ে। ফেব্রুয়ারি এলে বাঙালির মনে নতুন সাড়া জাগে; ঠিক বসন্তে যেমন গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়।
সত্যি এ-মাসে এ-দেশের মানুষ ভিন্নরঙা এক বাতাসের ভেলায় ভাসে। নতুন স্বপ্ন এসে বাসা বাঁধে এ দেশের মানুষের মনের মণিকোঠায়। নিজের দেশকে আবার নতুন করে ভালোবাসতে শেখে। এ মাসেই তারা যেন উপলব্ধি করতে শেখে নিজের দেশটাকে তো জানতে হবে, বুঝতে হবে, ভালোবাসতে হবে।
ফেব্রুয়ারি বাঙালির জেগে ওঠার মাস, বিদ্রোহের মাস, জাগরণের মাস। এ মাসেই আমরা আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষার জন্য অকাতরে রক্ত ঢেলে দিয়েছি, রাজপথ রঞ্জিত করেছি; দুঃসাহসী এ ঘটনাটি নিঃসন্দেহে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
আমাদের এই আত্মদানের মহিমা আরও প্রসারিত ও বিস্তৃত হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজনের মধ্যদিয়ে। আমাদের গৌরবের বিষয় এইযে, এই মেলার জনপ্রিয়তা ধীরে-ধীরে বেড়েই চলেছে। মেলার বিস্তার বাড়তে বাড়তে এর পরিধি গিয়ে বিগত তিন বছর আগেই ঠেকেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত।
হ্যাঁ প্রিয় পাঠক, বিগত তিনটি বছরের মতো এবারও মেলার সিংহভাগ বসেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলা শুরুর প্রথমদিন থেকেই সেই চিরচেনা দৃশ্যÑ শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর অবধি মানুষের ঠাসাঠাসি ভিড়। নানান বয়সী নারী-পুরুষ-শিশু দল বেঁধে এগিয়ে চলেছে বাংলা একাডেমির দিকে, অমর একুশের গ্রন্থমেলায়।
১ ফেব্রুয়ারি এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ অমর একুশে সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ প্রদান করা হয়। এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন কবিতায় আবু হাসান শাহরিয়ার, কথাসাহিত্যে শাহাদুজ্জামান, প্রবন্ধ ও গবেষণায় মোরশেদ শফিউল হাসান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে ডা. এম, এ হাসান, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় নূরজাহান বোস, শিশু সাহিত্যে রাশেদ রউফ, অনুবাদে ড. নিয়াজ জামান। নাটকে উপযুক্ত লেখক পাওয়া যায়নি বলে পুরস্কারের জন্য কাউকে বিবেচনা করা হয়নি। অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্টল বুঝে নিয়েছেন প্রকাশকরা। প্রয়োজনীয় সাজসজ্জা শেষে রীতিমতো বইয়ের পসরা সাজানো হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনে আসেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ-সময় তাঁরা মেলার মাঠ পুরোটা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মেলা প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কাজের খোঁজ-খবর নেন। মেলা পরিদর্শনকালে আগত দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গণিসহ আরও অনেকে। মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে এখন পর্যন্ত আমরা খুশি। সামনে যেকোনো ধরনের প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত আছি। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখে আমি এটুকু বলতে পারি, এবারের মেলা বেশ গোছানো হয়েছে।
এবারের মেলা সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হককে উৎসর্গ করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির আয়োজনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী দিন ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলামঞ্চে শুরু হয়েছে ‘সম্প্রীতির জন্য সাহিত্য’ শীর্ষক চারদিনের আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। এ সম্মেলনটিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, চিন, রাশিয়া, পুয়ের্তোরিকো, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ এই আটটি দেশের প্রতিনিধিরা সাহিত্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধসাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, নাট্যসাহিত্য, শিশু-কিশোর সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে বিশদ আলোচনা। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারতের লেখকদের উপস্থাপিত প্রবন্ধসমূহের সংকলন যুগপদভাবে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত হবে। এ সম্মেলনের একটি বিশেষ অংশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কবিদের কবিতাপাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সম্মেলনে দেশের ছয়জন বিশিষ্ট লেখক-বুদ্ধিজীবীকে ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন লেখক সম্মাননা ২০১৭’ প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননাপ্রাপ্ত লেখক বুদ্ধিজীবীরা হলেনÑ জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরুল ইসলাম, রবীন্দ্র-গবেষক ও ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক, এমিরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত মীর মশাররফ হোসেন রচিত অমর সৃষ্টি ‘বিষাদসিন্ধু’র অনুবাদ ‘ওসিন অব সরো’ এবং জার্মানি থেকে প্রকাশিত ‘হান্ড্রেড পোয়েমস অব বাংলাদেশ’ নামক দুটি অসাধারণ বই।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ সুষ্ঠুভাবে শেষ করার লক্ষ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে সমগ্র এলাকা। মেলার নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন মেলা আয়োজক কমিটি। পুরো মেলা ঘিরে রয়েছে থ্রি-মেগাপিক্সেলের ২৫০টি সিসি ক্যামেরা। প্রতিটি ক্যামেরায় থাকছে নাইট ভিশন প্রযুক্তি। দোয়েল চত্বর থেকে শুরু করে শামসুন্নাহার হল পর্যন্ত রাস্তায় এসব সিসি ক্যামেরা ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি, শাহবাগ থানা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত তিনটি কন্ট্রোল রুম থেকে এসব ক্যামেরা মনিটর করার লক্ষ্যে থাকছে ১৭টি ইউনিট।  
মেলা সূত্রে জানা গেছে ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। স্বাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১ ফেব্রুযারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
মেলাসূত্রে জানা গেছে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবছর বেড়ে গেছে। গতবার একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি এবং সোহরাওয়ার্দী অংশে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি ইউনিট; মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৫১টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা সংস্থাকে মোট ছয় হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এবার তা বেড়ে একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রায় ১০০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ৪২০টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রায় ১০০টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউজের দক্ষিণ দিকে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলা একাডেমির কয়েকটিটি প্যাভিলিয়ন, একাডেমি প্রকাশিত অভিধান বিক্রয়কেন্দ্র , একাডেমির শিশু-কিশোর প্রকাশনাভিত্তিক বিক্রয়কেন্দ্র এবং একাডেমির সাহিত্য মাসিক ‘উত্তরাধিকার’-এর বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
এবারের মেলায় নতুন বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের ব্যবস্থা করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। পূর্বে যা ছিল একাডেমি প্রাঙ্গণের নজরুল মঞ্চে।
মেলা কর্তৃপক্ষ মা এবং শিশুদের কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ নতুন ও অভিনব একটি ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন। যে সকল মায়েরা কোলের ছোট্ট শিশুটির কথা চিন্তা করে মেলায় আসা থেকে বিরত থাকেন তাদের জন্য রয়েছে এবারের মেলায় বিশেষ ব্যবস্থা। মেলায় তাদের জন্য কোলের শিশুকে নিরাপদে মাতৃদুগ্ধপানের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মায়েরা এখানে বসে তাদের শিশুদের নিরাপদে দুগ্ধ পান করাতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চয়ই প্রশংসাযোগ্য।
মেলার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্বসাহিত্য ভবনের স্বত্বাধিকারী প্রকাশক তোফাজ্জল হোসেন উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এ বছর মেলার অবস্থা ভালো। ব্যবস্থাপনা ভালো। দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো, রাজনৈতিক অস্থিরতা একেবারেই নেই। একটি পরিপূর্ণ মেলায় যা কিছু থাকা দরকার তার সবকিছুই এবারের মেলা পূরণ করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ার মতো। নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পাঠকের বই দেখেশুনে, ঘুরেফিরে কেনার জন্য পর্যাপ্ত হাঁটার জায়গা রাখা হয়েছে। লেখকদের জন্য আরও বৃহৎ পরিসরে বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একডেমি প্রাঙ্গণের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণেও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোটকথা এবারের মেলাটি পাঠক, লেখক, প্রকাশক সকলের জন্যই সর্বাঙ্গসুন্দর হয়েছে। এবারের মেলায় উল্লেখযোগ্য কী কী বই এনেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শওকত আলীর উপন্যাস সমগ্র, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের রচনাসহ অনেক লেখকের বই-ই তিনি মেলায় হাজির করেছেন।
রুচিশীল প্রকাশক চারুলিপি প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির বলেন, মেলার সার্বিক অবস্থা পূর্বের যে কোনো বছরের তুলনায় ভালো। ব্যবস্থাপনা প্রশংসাযোগ্য। সাজানো-গোছানো। দেশের রাজনৈতিক অবস্থাও স্থিতিশীল। পাঠকের মেলায় আসতে কোনো ঝামেলা নেই। মেলায় বিক্রি-বাট্টা ভালো হতে পারে। তবে সত্যি বলতে কী, মানসম্পন্ন পা-ুলিপির বড় অভাব। বইয়ের সংখ্যা অনেক কিন্তু মানসম্পন্ন বইয়ের আকাল। তাছাড়া পাঠক মেলায় কিছু বই কিনলেও সারাবছর বই বিক্রি হয় না বললেই চলে। মানুষ এখন বই বিমুখ হয়ে পড়েছে। বইয়ের জগতের বদলে মানুষ এখন নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ভার্চুয়াল জগতের ওপর। এ জগতের বিনোদনই এখন তাদের বিনোদনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ এখন বইয়ের বদলে ইন্টারনেট থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। সাহিত্য- সংস্কৃতির বিষয়টি নিয়ে কেউ আর চিন্তা-ভাবনা করে না। মানুষকে বইয়ের জগতে ফিরে আসতে হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। বই প্রকাশনাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। আসলে বই শিল্পটাকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। মেলায় তার আনা উল্লেখযোগ্য বইয়ের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলায় অনেকগুলো বই-ই আনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের এখনই রুখে দাঁড়াবার সময়, তারিক আনাম খানের নাটকসমগ্র, জাহানা ইমামের বিভিন্ন বইসহ অনেক স্বনামখ্যাত লেখকের বই তিনি মেলায় এনেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন