ঘোষণা যে কোনো সময়
স্টাফ রিপোর্টার : বিভক্ত হচ্ছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। উত্তর ও দক্ষিণে। যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হবে। থাকছে সুপার সেভেন। দুই তালিকা প্রস্তুত। সাংগঠনিক গতি বাড়াতে ঢাকা মহানগর বিএনপির পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের হাইকমান্ড।
দলীয় সূত্র মতে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের নির্দেশে গত কয়েক মাস ধরে ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন মহানগর শীর্ষ নেতারা। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি সবগুলো থানা ও ১০০টি ওয়ার্ড কমিটির একটি তালিকা তৈরি করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে জমাও দেন। কিন্তু এই কমিটি নিয়ে মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা আপত্তি জানায়। সঙ্গত কারণে কমিটি ঘোষণায় বিলম্বিত হয়। সম্প্রতি আগামী দিনের রাজপথের কর্মসূচির বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রæত নগর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে ছোট পরিসরে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের জন্য দুটি তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি এম এ কাইয়ুম, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম নকী, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সম্পাদক মুন্সী বজলুল বসিত আঞ্জু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য এজি এম সামসুল হক, শহিনুর আলম মারফত ও সাহেল রহমান এই তিন জনকে তালিকায় রাখা হয়েছে। উত্তরের এই কমিটি প্রায় চূড়ান্ত। আর দক্ষিণের তালিকা অনুযায়ী সভাপতি বর্তমান আহŸায়ক কমিটির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আঃ লতিফ খান, সাধারণ সম্পদক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম সম্পাদক মকবুল হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইউনুস মৃধা, সাব্বির হোসেন আরিফ ও আনম সাইফুল ইসলাম এই তিন জনের নাম রয়েছে। তবে দক্ষিণের জন্য প্রস্তুতকৃত এই তালিকা নিয়ে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা চলছে। সভাপতি পদে আব্দুস সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইউনুস মৃধার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তালিকায় ব্যাপক রদবদল হতে পারে।
বিএনপি সূত্র মতে, তরুণ নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতার পাশাপাশি বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য দক্ষিণের সভাপতি তালিকায় নাম রাখা হয়েছে হাবীব উন নবী খান সোহেলের। তবে এক নেতার এক পদ গঠনতন্ত্র সংযোজন করায় অনেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সোহেলের ব্যাপারে আপত্তি করেছেন। সেজন্য শেষ পর্যন্ত এই নামে পরিবর্তন আসতে পারে। আর বিগত সময়ে নানা বিতর্ক থাকলেও সর্বশেষ আন্দোলনে ভূমিকার জন্য তালিকায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খোকাপন্থী হিসেবে পরিচিত নবী উল্লাহ নবীর নাম আছে। সংস্কার প্রক্রিয়া জড়িত থাকার কারণে আব্বাসপন্থীরা তার বিরোধিতা করে ইউনুস মৃধাকে এই পদে আনার চেষ্টা করছেন। তাই শেষ পর্যন্ত দক্ষিণের তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।
দলের এক সিনিয়র নেতা জানান, পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল করা এবং দেশের কেন্দ্রস্থলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়টি মাথায় রেখেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটিতে ভাগ করা হবে। দুটি কমিটির নেতৃত্বে আসবেন নগর নেতারা। কেন্দ্রীয় তারকা নেতাদের অকারণে এই কমিটিতে অর্šÍভুক্ত করা হবে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণের সভাপতি হিসেবে আলোচনায় থাকা আব্দুস সালাম ইনকিলাবকে জানান, দীর্ঘদিন মহানগর রাজনীতি করছি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন যদি মনে করে দায়িত্ব দেবেন তাহলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন