শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

অবশেষে রুয়েট শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাবি রিপোর্টার : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ‘৩৩ ক্রেডিট’ প্রথা বাতিল দাবিতে আন্দোলনের সময় শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে টানা ১০ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শেষে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান সমিতির সভাপতি প্রফেসর নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফি। এর আগে গত ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে এই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আসছে রুয়েট শিক্ষকরা। জানতে চাইলে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর নীরেন্দ্র নাথ মুস্তাফি বলেন, আমরা সময়িকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি স্থগিত করছি এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ২১ দিনের মধ্যে প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি। আমাদের এই আল্টিমেটামের কথা ভিসি স্যারকে জানিয়াছি।
জানা যায়, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণের জন্য বাধ্যতামূলক ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জনের নিয়ম করা হয়। নিয়ম চালুর পর ২০১৫ সালের আগস্টে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন দমাতে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে দাবি আদায় ছাড়াই আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় বছর পর আবারও একই দাবি নিয়ে ২৮ জানুয়ারি টানা আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করে। ৩১ জানুয়ারি আন্দোলন দমাতে আবারও প্রশাসন দু’টি সেশনের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। ১ ফেব্রুয়ারি ওই দু’টি সেশনের শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জারি করে। ৪ ফেব্রুয়ারি দিনভর আন্দোলনের পর বিকেল থেকে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এতে অবরুদ্ধ হয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৫ শিক্ষককে নিয়ে কার্যালয়ে রাত কাটায় ভিসি প্রফেসর মোহা. রফিকুল আলম বেগ। পরদিন ভিসি অবরুদ্ধ অবস্থায় একাডেমিক কমিটির জরুরী সভা ডেকে দাবি মেনে নেয় প্রশাসন।
তবে ওইদিন সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির জরুরী সভায় আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগ আনা হয়। শিক্ষকরা আন্দোলনে সীমালঙ্ঘনকারী, উস্কানিদাতা ও সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন