ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক : বাকশক্তি, ভাষা, পাঠ-আবৃত্তি, বাচনভঙ্গি, শব্দ ব্যবহার, শব্দবিকৃতি, উপমা, রূপক শব্দের সীমাবদ্ধতা, পশুপাখি-কীটপতঙ্গের ভাষা, জাতি-বর্ণ, দেশ ইত্যাদি নিয়ে কোরআন মাজিদে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রয়েছে। কয়েকটি হলো :
১. আর তার (আল্লাহর) নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন : আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। (৩০ ছুরা রূপ : ২২ আয়াত) রায় বাহাদুর ড. দীনেশচন্দ্র সেন তার ‘প্রাচীন বাঙ্গলা’ সাহিত্যে মুসলমানের অবদান গ্রন্থে লেখেন যে, চর্যাপদের অন্যতম কবি বৌদ্ধনাথ গুরু মীননাথ বঙ্গদেশ বাসী ছিলেন। তিনি লেখেনÑ “মীননাথ গোরক্ষনাথ, চৌরঙ্গীনাথ, কপটিনাথ ও বিন্দুনাথ এবং ৮৪ সিদ্ধাকে লইয়া যে বৃহৎ নাথ পরিবার গঠিত হইয়াছিল ইহারাই উত্তরকালে ‘নাথ-গুরু’ নামে বাঙ্গালীর জনসাধারণের অখ- অধিকার স্থাপন করিয়াছিলেন। সেন রাজগণের কোপানলে দগ্ধ হইয়া পূর্ববঙ্গে নাথ-পন্থীরা ইসলামের আশ্রয় লইয়া জুড়াইয়াছিল।... ধীরে ধীরে যে বৃহৎ নাথ-পন্থী সমাজ ইসলামের দিকে ঝুঁকিয়া পড়িয়াছিল, তাহার প্রমাণ আছে।” (পৃ ১৭, ২১)। ড. সেন আরও বলেন যে, নাথ-পন্থীদের সঙ্গে রামাই প-িতের পদ্ধতির মিল আছে (পৃ. ১৯)।
মীননাথ চর্যাপদের প্রখ্যাত কবি। নেপালে আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি। সেখানে তাকে গুরু বলে সম্মান করা হয়, পূজা করা হয়। যাই হোক নাথ-পন্থী বৌদ্ধরা মুসলমান হয়ে যায়।
ইসলাম তো এর ভেতরেই প্রাচীন বাংলায় পৌঁছে। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে ৭ম শতাব্দীতে হিজরি ১৩-২৪ সনের মধ্যে ইসলাম প্রচার দল বাংলাদেশে প্রথম আসে। এদের নেতা ছিলেন হযরত মামুন (রা.) ও হযরত মুহায় মিন (রা.)। দ্বিতীয় দলে ছিলেন হযরত হামেদ উদ্দীন (রা.), হযরত হোসেন উদ্দীন (রা.), হযরত মুর্তাযা (রা.), হযরত আবদুল্লাহ (রা.) ও হযরত আবু তালিব (রা.)। এ সময় পাঁচটি দল আসে (বরাত : নাসির হেলাল, “বাংলাদেশে ইসলাম” পৃ.-১৬)।
মুসলমানদের হাতে ঘৃণ্য “বাঙ্গালদেশ” এর “বাঙালি” বা একটি যুক্ত ও বৃহত্তর দেশে মর্যাদাবান বাঙালি জাতিতে পরিণত হলো তার বিশ্লেষণ করেছেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদগণ। এস এ রহিম লেখেন, “দ্বাদশ শতকের শেষভাগেও ‘বাঙ্গালাহ’ নামটি কেবলমাত্র বাংলার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এমন কি, মুসলিম শাসনের প্রথমদিকেও বাংলার একমাত্র পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলেই ‘বঙ্গ’ বা বাঙ্গালাহ নামে অভিহিত হতো।”
গিয়াসউদ্দিন বলবনের (১২৬৬-৮৭ খ্রি.) সময় থেকে ‘বাঙ্গালাহ’ নাম মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত হয় এবং বাংলার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের জন্য সাধারণত এ নাম ব্যবহৃত হয়। বারনী সর্বপ্রথম মুসলিম লেখক, যিনি ‘বাঙ্গালাহ’ নাম ব্যবহার করেন এবং তিনি তার প্রথমদিকের বর্ণনায় এই নাম বলতে বাংলার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের উল্লেখ করেন। তিনি সুলতান বলবনের নি¤েœাক্ত উক্তির উল্লেখ করেন, “আমি লক্ষণাবতী এবং বাঙলা অঞ্চল আমার কনিষ্ঠ পুত্রকে (বুগরা খান) অর্পণ করেছি, এ দেশ কিছুকাল যাবৎ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।” (বারনী, পৃ.-৫৩)। (বরাত : মুবারক শাহী, পৃ.-১২৫; বারনী, পৃ.-৫৯৩) এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, সুলতান ইলিয়াস শাহ উত্তরবঙ্গে পান্তুয়াকে রাজধানী করে লক্ষণাবতী থেকে তার স্বাধীন সালতানাতের সূচনা করলেও তিনি নিজে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’, ‘শাহ-ই-বাঙ্গালী’ ও ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালী’ উপাধি ধারণ করতে পছন্দ করেছেন এবং সমসাময়িকরাও তাকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ ও ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালী’ (বরাত : আফিফ, পৃ. ১১৪-১১৮) উপাধিতে অভিহিত করেছেন। এটা ছিল হিন্দু রাজাদের থেকে একটা ব্যতিক্রম। বাংলার বৃহদাংশ তাদের রাজার অন্তর্ভুক্ত হলেও হিন্দু ও বৌদ্ধরাজারা নিজেদের গৌড়েস্বর বা গোড়বাজ বলতে গর্ববোধ করতেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে সুলতান ইলিয়াস শাহ সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলকে ‘বাঙ্গালাহ’ নাম দিয়ে এবং ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ ও ‘শাহ-ই-বাঙ্গালী’ উপাধি ধারণ করে নিজেকে এই বৃহত্তর বাংলার জাতীয় শাসকরূপে ঘোষণা করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তের দ্বারা তিনি দিল্লির সুলতানের বিরুদ্ধে তার বিদ্রোহে এবং এদেশে তার সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠায় বাংলার প্রধান ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণের সমর্থন ও সহযোগিতা লাভের আশা করেছিলেন।
উচ্চবর্ণের হিন্দুরা বিভেদাত্মক নীতি নিয়ে এগিয়ে চলে। এর বহু উদাহরণ আমরা বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”তে লক্ষ্য করি।
সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে হিন্দু মহাসভা আগে থেকেই বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ করার দাবি জানিয়ে আসছিল। এখন (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭) কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ তা সমর্থন করলেন। এ সময় বাংলা ভাগের দাবিতে হিন্দু মহাসভা শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলে।
এ সময় সোহরাওয়ার্দী, নাজিমুদ্দিন, আবুল হাশিম ও নুরুল আমীনসহ অন্যান্য নেতারা বাংলাকে অখ- রেখে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন, তারা ঘোষণা করেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ভারত কোনো রাষ্ট্রেই যোগ দেবে না। এটা হবে স্বতন্ত্র স্বাধীন দেশ। (সাঈদ তারেক “বাংলা কেন ’৪৭-এ স্বাধীন হলো না” পৃ. ৪২)। ২৩ এপ্রিল ’৪৭
আবুল হাশিম ২৯ এপ্রিল ১৯৪৭ বলেন : “বাংলা আজ তার ভাগ্যের এক ক্রান্তিলগ্নে সমুপস্থিত। তার সামনে দুটি পথ খোলা আছে- একটি স্বাধীনতা ও গৌরবের অপরটি অনন্তকালের জন্য দাসত্ব শৃঙ্খল ও অশেষ নির্যাতনের। ...বাংলা যদি দ্বিখ-িত হয়, তাহলে পশ্চিম বাংলা বিজাতীয় ভারতীয় সা¤্রাজ্যবাদের একটি স্থির প্রত্যন্তের প্রদেশমাত্র কিংবা সম্ভবত উপনিবেশ মাত্র বলে বিবেচিত হবে।” (আবুল হাশিম আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি)। ’৪৭-এর ৫ মে সোহরাওয়ার্দী তার ৪০ থিয়েটার রোডের বাসায় এক বৈঠক ডাকেন। সেখানে স্বাধীন বাংলার খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন, শরৎচন্দ্রবসু, মোহাম্মদ আলী, কিরন শংকর রায়। ফজলুর রহমান, নলী নিরঞ্জন সরকার, আবুল হাশিম ও সত্য রঞ্জন বকশী। ৭ মে সোহরাওয়ার্দী এক বিবৃতিতে হিন্দু ও মুসলমান নেতাদের এক যুক্ত বৈঠক আহ্বান করেন। বাংলা স্বাধীনতার এই চমৎকার সুযোগ নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ (অখ-রূপে) স্বাধীন না হলে বাংলা হিন্দুদের বিশেষ মর্যাদা থাকবে না। (ভারতে) তাদের ভাষা ও কৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অন্যান্য প্রদেশ বাংলাকে শোষণ করবে।” (ডন ৯ মে, ১৯৪৭)
৯ মে শরৎচন্দ্রবসু গান্ধীজির সাথে দেখা করার জন্য তার সোদপুরের আশ্রমে যান। পরদিন আবুল হাশিমকে নিয়ে যান গান্ধীজির কাছে। গান্ধীজি সেদিন কোন কথা বলেননি, শুধু আবুল হাশিমের কথা শুনেছেন। আবুল হাশিমের কাছে স্বাধীন বাংলার সংক্ষিপ্ত খসড়া শাসনতন্ত্রের একটি কপি ছিল। গান্ধীজির ভাবসাব দেখে তা তাকে দেখানোর উৎসাহ পাননি। ১১ মে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম, মোহাম্মদ আলী ও ফজলুর রহমান সোদপুর আশ্রমে গান্ধীজির সাথে দেখা করেন। আলোচনায়ও তিনি কোন সাড়া দেননি। ২০ মে অখ- বাংলার ব্যাপারে গঠিত মুসলিম লীগ ও প্রাদেশিক কংগ্রেস যৌথ কমিটি একটি চুক্তিতে পৌঁছে। এ চুক্তির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আবুল হাশিম লিখেছেনÑ “শরৎচন্দ্রবসুর ১নং উডবার্ন পার্কে কংগ্রেস (প্রাদেশিক) এবং মুসলিম লীগের (প্রাদেশিক) যুক্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো। কমিটির কাজ শেষ হলো ১৯৪৭ সালের ১৯ মে। ২০ মে শরৎচন্দ্রবসু তার বাসভবনে এক সম্মেলন আহ্বান করলেন এবং সম্মেলনের সদস্যদের রাত্রিতে এক প্রীতিভোজ আপ্যায়িত করলেন। এই সম্মেলনে সার্বভৌম বাংলার অন্তবর্তী সরকারের জন্য তৈরি খসড়া সংবিধান প্রীতিভোজের পর স্বাক্ষরিত হলো।” (আবুল হাশিম আমার জীবন ও বিভাগ পূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি, পৃষ্ঠা ১৭৩-১৮১)।
শরৎচন্দ্রবসু ২৩ মে গান্ধীজিকে লেখা চিঠিতে জানান যে, ২০ মে তার বাড়িতে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ ও প্রাদেশিক কংগ্রেসের অনেক নেতা বৈঠক করেন। এতে সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম (বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সম্পাদক) ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান যে, পরীক্ষামূলকভাবে একটি চুক্তি করে তাতেও আবুল হাশিম স্বাক্ষর করেছেন।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার প্রশ্নে সোহরাওয়ার্দীর আন্তরিকতা ও জিন্নাহ সাহেবের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে শেখ সাহেব লেখেন, “তিনি (সোহরাওয়ার্দী) একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যিনি খ-িত পাকিস্তানে খ-িত বাংলার কুফল উপলব্ধি করিতে পারিয়াছিলেন। তাহার স্থলে উদ্ভব হইয়াছিল বৃহত্তর বাংলার ‘সোহরাওয়ার্দী বসু চুক্তি’। এই পরিকল্পনার প্রতি কায়েদে আজমেরও আশীর্বাদ ছিল। কিন্তু বল্লভ ভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে চরমপন্থি কংগ্রেস এবং মি. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির (হিন্দু মহাসভার বাঙালি নেতা) ন্যায় সাম্প্রদায়িকতাবাদীগণ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হইতে দেয় নাই।” (শেখ মুজিবুর রহমান, “নেতাকে যেমন দেখিয়াছি” দৈনিক ইত্তেফাক, সোহরাওয়ার্দী সংখ্যা, মার্চ ১৯৬৪)। মাহমুদ হাসান তাঁর ‘ভাষা আন্দোলনে’ বইয়ে উল্লেখ করেছে ২০ ফেব্রুয়ারি ’৫২-এর রাতে আওয়ামী লীগের নবাবপুর রোডের অফিসে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভা বসে। সেখানে ১১-৪ ভোটে সিদ্ধান্ত হয় ১৪৪ ধারা ভাঙ্গা হবে না। আওয়ামী লীগ সহমত ছিল, সেই সঙ্গে মুসলিম ছাত্র লীগও এই সভায় সভাপতিত্ব করেন তমুদ্দন মজলিসের আবুল হাশিম। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বাঁধলে সেই সুযোগ নিয়ে বামপন্থি বিপ্লবীরা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব তাদের হাতে নিয়ে নিতে পারে।
সংগ্রাম পরিষদে ভোটে হেরে গেলেও সভাপতি আবুল হাশিম মারফত সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন একটা সিদ্ধান্ত পাস করিয়ে নেন। সেটা হচ্ছে, পরদিন অর্থাৎ একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার ছাত্র সভায় দুটো ভিন্নমত উপস্থাপন করা হলো। ছাত্র সভায় আবদুল মতিনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তাবে ছাত্ররা সমর্থন দেয়। এই ছাত্র সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন বগুড়ার গাজিউল হক, যিনি তখন বামপন্থিই ছিলেন, যদিও পরবর্তীতে ডান।
যাই হোক এটা স্বীকার করতেই হবে যে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের ‘ক্লাইমেক্স’ যার পটভূমি সৃষ্টি করেছে তমদ্দুন মজলিস।
এটা এখন সুপ্রতিষ্ঠিত যে তমদ্দুন মজলিসই ভাষা আন্দোলন শুরু করে। এর পক্ষে প্রকট গুরুত্বপূর্ণ দলিল বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”। তাঁর কন্যাও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন বাণীতে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। দু’পা এগিয়ে, এক পা পিছিয়ে, যেভাবেই হোক তমদ্দুন মজলিসসহ অন্যান্য দল ভাষা আন্দোলনে এগিয়ে আসে। আর ভাষা, দেশ ও জাতি একদিকেই এগুতে থাকে।
লেখক : গবেষক, ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন