বিনোদন ডেস্ক : সিডউল ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রযোজনা সংস্থা হার্টবিট প্রডাকশনের কর্ণধার তাপসী ঠাকুর। তিনি এক লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। অভিযোগে তিনি বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে শাকিবকে ২০১৭ সালের রোজার ঈদের জন্য নতুন ছবির সিডিউল বাবদ ১৫ লাখ টাকা সাইনিং মানি দেয় হার্টবিট প্রোডাকশন। শাকিব মৌখিকভাবে কনফার্ম করেন এবং বলেন, মার্চ-এপ্রিলে সিডিউল রাখা আছে। এ বিষয়ে একাধিকবার শাকিব মৌখিকভাবে কনফার্ম করেন। যার কারণে হার্টবিট ছবি নির্মাণের সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং প্রচুর অর্থলগ্নি করে। কিন্তু লিখিত সিডিউলের ব্যাপারে শাকিব টালবাহানা করতে থাকে। অভিযোগে বলা হয়, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে হার্টবিট প্রোডাকশন জানতে পারে যে, ভারতের শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসকে শাকিব ঈদের সিডিউল মার্চ-এপ্রিল দিয়ে দিয়েছে। তখন হার্টবিট কর্তৃপক্ষ শাকিবের কাছে সাইনিং মানির ১৫ লাখ টাকা ফেরত চায়। শাকিব টাকা ফেরত তো দিলই না, কবে দিবে তাও বলেনি। শাকিব হার্টবিটের ছবিতেই প্রথম ও দ্বিতীয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। অথচ হার্টবিটের সাথে এভাবে প্রতারণা করতে তার বিবেকে বাঁধলো না। দীর্ঘ চার মাসের উপর সময় ধরে হার্টবিটের সাথে ইঁদুর-বিড়াল খেলা করল। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি এবং শিল্পী সমিতির কাছে প্রশ্ন একজন শাকিব কি যা ইচ্ছে তাই করতে পারে? হার্টবিট প্রোডাকশনের যে সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি শাকিব করল এজন্য হার্টবিট প্রোডাকশন অচিরেই আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, শাকিব হার্টবিট প্রোডাকশন প্রযোজিত জাকির হোসেন রাজুর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’র জন্য ২০১০ ও শাহীন-সুমন পরিচালিত খোদার পরে মা’র জন্য ২০১২ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। এদিকে শাকিব বলেছেন, তিনি নাকি টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। কাজেই মামলা হবে কীভাবে, কিসের ভিত্তিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন