শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নারী নির্যাতন বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


৫ বছরে নারী নির্যাতন মামলার ৩৫৮৮টি নিষ্পত্তি
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে একের পর এক নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নানাবিধ নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশ উৎকণ্ঠিত। প্রতিদিনই বাড়েছে এ ধরনের ঘটনা। বাংলাদেশে সহিংসতার শিকার নারীর বিচার প্রাপ্তির জন্য বিশেষ আইন ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০৩’ রয়েছে। এই আইনের অধীনে বিগত পাঁচ বছর ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত দেশের মোট ছয়টি জেলার সাতটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১১ হাজার ৮৬৪টি মামলার মধ্যে তিন হাজার ৫৮৮টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তিকৃত মামলার মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ১৮টি, খালাস হয়েছে একহাজার ৪৭টি, অব্যহতি পেয়েছে দুইহাজার ৫২৩টি এবং আট হাজার ২৭৬টি মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নারীপক্ষ আয়োজিত ‘নারী ও শিশুর প্রতি ন্যায়বিচার : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ প্রেক্ষিত গবেষণার ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনই তথ্য বেরিয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে নারীপক্ষের সদস্য আইনজীবী ইউ এম হাবিবুন নেসা ও নারীপক্ষের প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা বক্তব্য রাখেন। নারীপক্ষ ১৯৯৮ সাল থেকে পুলিশ, স্বাস্থ্য ও বিচার বিভাগের সাথে যুক্ত হয়ে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩’ প্রয়োগের কাঠামোগত ও পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় নারীপক্ষ ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট ও নোয়াখালীসহ মোট ছয়টি জেলায় সাতটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১১ হাজার ৮৬৪টি মামলা পর্যবেক্ষণ করে। নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্পের অধিনে ৬০টি মামলা পর্যবেক্ষণ করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল-সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও জবাবদিহিতা  তৈরির মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সহিংসতার শিকার নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির  ক্ষেত্র তৈরি করা। গবেষণায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় দায়েরকৃত ২৯টি ধর্ষণ, ২৫টি যৌতুক, দুইটি অপহরণ, একটি এসিড আক্রমণ, তিনটি দাহ্য পদার্থ দ্বারা আঘাতসহ মোট ৬০টি মামলা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ২৭ জন সহিংসতার শিকার নারী ও ৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে নিবিড় সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মামলা দায়ের থেকে বিচারকার্য পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করা হয়। এ থেকে জানা যায়, ভুক্তোভোগী কেউই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না। তারা ভীতসন্ত্রস্ত। ঘুমাতে পারে না, লজ্জায় ঘরের বাইরে যেতে পারে না, অন্যদের সাথে মিশতে পারে না। সঙ্গে পরিবার এসব নির্যাতিতদের বোঝা মনে করে। এমনকি থানা, হাসপাতাল ও আদালতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার নারী অপমান হয়ে থাকে। এ ছাড়া মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে সহিংসতার শিকার নারী ও তার পরিবার মানসিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে ৬০টি মামলার মধ্যে ধর্ষণ সাতটি ও যৌতুক সংক্রান্ত ছয়টিসহ মোট ১৩টি মামলায় আপোষ হয়েছে। অথচ ধর্ষণের মামলা কখনো আপোষযোগ্যই নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
S. Anwar ১০ মে, ২০১৭, ১২:৩০ এএম says : 0
নারী নির্যাতনের খবরগুলো আদৌ সত্য নয়। কারন যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নারী, জাতীয় সংসদের স্পীকার নারী, বড় বড় সরকারী পদে নারী, যে দেশের প্রতি ঘাটে ঘাটে চলছে নারীর ক্ষমতায়ন, যেখানে নারীর জন্য রয়েছে সম-অধিকার ও বিশেষ আইনী সুবিধা, নারীর ক্ষমতার কাছে পুরুষ যেখানে অসহায়, সর্বোপরি যে দেশে চলছে আইনের কড়া শাসন, সে দেশে কোন নারীকে নির্যাতন করার মতো দুঃসাহস আছে কোন্ পুরুষের??
Total Reply(0)
S. Anwar ১০ মে, ২০১৭, ১২:৩১ এএম says : 0
নারী নির্যাতনের খবরগুলো আদৌ সত্য নয়। কারন যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নারী, জাতীয় সংসদের স্পীকার নারী, বড় বড় সরকারী পদে নারী, যে দেশের প্রতি ঘাটে ঘাটে চলছে নারীর ক্ষমতায়ন, যেখানে নারীর জন্য রয়েছে সম-অধিকার ও বিশেষ আইনী সুবিধা, নারীর ক্ষমতার কাছে পুরুষ যেখানে অসহায়, সর্বোপরি যে দেশে চলছে আইনের কড়া শাসন, সে দেশে কোন নারীকে নির্যাতন করার মতো দুঃসাহস আছে কোন্ পুরুষের??
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন