শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি - প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নারী নির্যাতন মামলা

প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নারী নির্যতন মামলার বাদী হয়েছে মোঃ লুৎফর রহমান ওরফে বেল্লালের স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৪)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাদীর বাড়ি বানারীপাড়ার সীমান্তবর্তী ঝালকাঠি থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামে। বানারীপাড়া থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর স্বামীর পূর্ব পরিচিত উপজেলার দিদিহার গ্রামে আঃ হক (৫০)। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে বেল্লালের সাথে দেখা করতে গিয়ে তাকে পায়নি। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বানারীপাড়া থানার মীরেরহাট গ্রামের এমআরবি ইটভাটার উত্তর-পশ্চিম পাশে নদীর পাড়ে আসামি আঃ হকসহ ৩/৪ জনের সহযোগিতায় যৌনকামনা চরিতার্থে বাদী নারগিস আক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌনপীড়ন ঘটায়। এ সময় নারগিসের চিৎকার শুনে লোকজন আসায় নারগিস আক্তারকে আঃ হক ছেড়ে দিয়ে ট্রলারযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বাদীর অভিযোগের কোনো সত্যতা সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না বা শোনেওনি। তবে ইটভাটার জমিতে আঃ হকের জমি জোরপূর্বক বাদী নারগিসের স্বামী লুৎফর ওরফে বেল্লাল দখল করে ইটভাটার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আঃ হক এ ব্যাপারে জমি ছেড়ে দিতে বললে কোনো কর্ণপাত না করায় সে থানায় অভিযোগ করে। থানার মাধ্যমে সালিশ বৈঠকে বেল্লাল জমির দুই বছরের ভাড়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫ হাজার ইট আঃ হককে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ঘটনার দিন হকের ছেলে হাবিবুর রহমানকে টাকা ও ইট নেওয়ার জন্য সকালে ইটভাটায় যেতে বলে। বেল্লাল ও তার লোকজন টালবাহানা করে সকালে টাকা ও ইট না দিয়ে সন্ধ্যায় ইট নেওয়ার জন্য কৌশলে ইটভাটার মধ্যে ডেকে নিয়ে উল্টাপাল্টা গালাগাল শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে বেল্লাল ও তার ওই লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা ও জখম করে। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া ও হয়রানির জন্য আঃ হকের বিরুদ্ধে আগাম নিজ স্ত্রী নারগিসকে নির্যাতন করার নাটক সাজিয়ে মামলা করে। আহত হকের ছেলে হাবিবুর সুস্থ হলে ২৩ দিন পরে বেল্লালের নামে কোর্টে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে বাদী নারগিসের অভিযোগপত্রে দেয়া মোবাইলের নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নারগিসের স্বামী বেল্লালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মারামারির ঘটনায় বড় মামলা হওয়ার ভয়ে এ মামলা করা হয়েছে। স্ত্রীকে দিয়ে এ ধরনের নোংরা মামলা কেন দিলেন জানতে চাইলে বেল্লাল বলেন, রাগের মাথায় করেছি, এখন নিজেরই লজ্জা লাগে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় বিবাদের জের হিসেবে বাদীর স্বামীর প্ররোচনায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন