বেনাপোল অফিস : বেনাপোল ও সীমান্তবর্র্তী উপজেলা শার্শায় ‘ব্ল্যাস্ট ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত হেক্টর জমির বাসমতি ধান। ধান চাষে সুবিদা করতে না পেরে ভালো লাভের আশায় সুগন্ধি এই ধান চাষ করেছিলেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে তেমন একটা সহযোগিতা মিলছে না বলে কৃষকদের অভিযোগ।
শার্শা উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হলেও ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি বাসমতি ধান চাষ হয়েছে। কিন্ত ‘ব্ল্যাস্ট’ ভাইরাসে আক্রান্ত শত শত হেক্টর বাসমতি ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার লক্ষণপুর, ডিহি, শার্শা, বেনাপোল, বাহাদুরপুর ও উলাশীর বিভিন্ন এলাকায় রোগাক্রান্ত জমি বেশি। এ রোগে আক্রান্ত জমির ধানগাছের গোড়া ও শিকড় পচে যায়। ধান গাছের পাতায় কালো দাগ পড়ে এবং পাতা লালচে হয়ে যায়। ধীরে ধীরে গাছ মরে যায়।
চাষিদের অভিযোগ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে জানানো হলেও খুব একটা সাড়া পাননি তারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে পথে বসেছেন এ এলাকার কৃষকরা। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।
ল²ণপুর ইউনিয়নের চাষি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে বাসমতি ধান চাষ করেছি। পুরোটাই আক্রান্ত হয়েছে ভাইরাসে। কোনো ওষুধ দিয়েও সুফল পাচ্ছি না।
স্বরূপদহ গ্রামের চাষি মজিবর রহমান জানান, বাসমতি ধানের আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন তিন। জমিতে ‘ব্ল্যাস্ট’ ভাইরাসের আক্রমণ ঘটেছে।
শার্শার বাসমতি চাষি কবীর উদ্দীন, জানান, তারা এই ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরককুমার সরকার বলেন, “উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিছু কিছু বাসমতি ধানের জমিতে ‘ব্ল্যাস্ট’ নামে এক ধরনের ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত জমির ধানের গোড়া ও শিকড় পচে যায়, পাতা লালচে হয়ে যায়।”
তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ গ্রহণ করে কৃষকরা ওষুধ ব্যবহার করছেন, সুফলও পাচ্ছেন।
‘অফিসে জনবলের সঙ্কট রয়েছে। এ কারণে কৃষকদের সঠিকভাবে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। জনবল সঙ্কট পূরণ হলে কৃষকদের কোনো অভিযোগ থাকবে না’, বলেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, ‘আক্রান্ত জমিতে সিকিউর, এমিস্টারটব ও নাটিবু ওষুধ স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেয়া হযেছে। একইসঙ্গে জমির পানিও শুকিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন