পরস্পর সম্পূরক-পরিপূরক-সম্মানবোধ, পরমত সহিষ্ণুতা ও বোঝাপড়ার নামই জায়াপতি। নিজকে নিজেদের
সন্তান-সন্ততি, পিতামাতাসহ সমাজকে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ায় অসামান্য দুই হৃদয়ের যৌথতাকে স্বীকৃতি দিতেই র্ডপ-এর জায়াপতি সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ। বেসরকারি সংস্থা র্ডপ-এর ৩০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন গল্প, কবিতা, গান, বিজয় চেতনার আত্মকথন এবং জায়াপতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় যৌথ অবদানের জন্য সাত জায়াপতিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জায়াপতিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কাজী রোজী এবং নূরজাহান বেগম মুক্তা।
জায়াপতি সম্মাননা বিজয়ীরা হচ্ছেন- ‘সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক গবেষক’ হিসেবে ড. নাজনীন আহমেদ ও ড. এম হেলাল, ‘ভোগে নয়-ত্যাগেই আনন্দ’-এ ডা. তাজকেরা খানম ও ফরিদ আহম্মেদ ভূঁইয়া, ‘ভাঙ্গা-গড়ার বন্ধনে’ অধ্যক্ষ জামসেদা জাং চৌধুরী ও অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, ‘শহর-গ্রাম সেতু বন্ধন’-এ নারগীস মাহতাব ও মাহতাব উদ্দিন নান্নু, ‘মাতৃত্বকালীন ভাতার প্রথম মা’ হিসেবে (২০০৫ কালিয়াকৈর) ফিরোজা ও মজনু মিয়া, ‘স্বপ্ন মা একের ভেতর সতের’-এ (২০০৯-১০ কালিগঞ্জ) অর্পিতা রাণী সরকার ও দেব রঞ্জন সরকার এবং ‘স্বপ্ন মা একের ভেতর সতের’-এ (২০১৪-১৫ টুঙ্গিপাড়া) রাবেয়া বেগম ও জাহিদুল ইসলাম।
র্ডপ প্রতিষ্ঠাতা এবং গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আবুল কাশেম, র্ডপ-এর চেয়ারম্যান মোঃ আজহার আলী তালুকদার, গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, রামগতি পৌরসভার মেয়র এম. মেজবাহ উদ্দিন, কবি রোকেয়া ইসলাম, গবেষক সাওয়াল খান, গণমাধ্যম কর্মী ও কবি তাহমিনা শিল্পী, শিল্পী হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি এইচ টি ইমাম, বিজয় দিবসের পটভ‚মির দীর্ঘ ধারাহিকতা এনে ‘মুক্তির’ পথ ও পাথেয় হিসেবে ‘কানেকটিং দ্যা ডিসকানেকস্’-এর এই বৈচিত্র্যময় অনন্য অনুষ্ঠানকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার এক গভীরতম শক্তি হিসেবে অভিমত ব্যক্ত করেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা ‘র্ডপ’-এর ৩০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জায়াপতি সম্মাননাকে মাতৃত্বকালীন ভাতাকেন্দ্রিক স্বপ্ন প্যাকেজের প্রধান ধারক ও বাহক, দৃশ্যমান প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। সম্মাননা প্রাপ্তরা স্ব-স্ব পর্যায়ে তাদের আলোকবর্তিকা ও দৃষ্টান্ত দেশ ও জাতিকে প্রভাবান্বিত করবেন বলে সকলে আশা প্রকাশ করেন। অতিথি ও আয়োজক সংশ্লিষ্টরা মা স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সাম্যতা ও ন্যায্যতা বিনির্মাণে স্বপ্ন প্যাকেজের গুরুত্ব অনুধাবন করে সারাদেশে এর সম্প্রসারণের দাবিও করেন।
য় আ হ ম ফয়সল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন