চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সিইসি কে এম নুরুল হুদা প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে এসে স্মার্ট কার্ড বিতরণে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলকে প্রাধান্য দিয়ে এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের উপেক্ষা করার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তিনি একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামের মানুষ আশা করেছিল সিইসি চট্টগ্রামের সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করবেন, কিন্তু তা না করায় শুধু চট্টগ্রামবাসী নয়, পুরো জাতি হতাশ হয়েছে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা গোটা জাতির। নতুন নির্বাচন কমিশন জাতির সে প্রত্যাশা পূরণে কি ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে তার দিকে সকলের দৃষ্টি। তবে তাদের ভ‚মিকা বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে বসে নিরপেক্ষ থাকার শপথ নিয়ে সিইসি নুরুল হুদা বলেছিলেন, তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি মুখে যতই নিরপেক্ষতার কথা বলেন না কেন, অন্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করায় যে তার উদ্দেশ্য তার ভ‚মিকায় সেটিই প্রমাণ হচ্ছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, সকল দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা চলছে মর্মে যে বক্তব্য সিইসি দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তিনি জনতার মঞ্চের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ কারণে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরস্কৃত করে যুগ্ম- সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। এবার তাকে প্রমোশন দিয়ে সিইসি হিসেবে নিযুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
ডা. শাহাদাত বিবৃতিতে আরও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মার্ট কার্ডে নিজের ছঁবি দেখে যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার মাধ্যমে প্রমাণ হয় বর্তমান কমিশন অযোগ্য। তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, নির্বাচন আশা করা অবান্তর।
উল্লেখ্য, সোমবার নগরীতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন করেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ পাঁচ জনের হাতে কার্ড তুলে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন