মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা : মেহেরপুরে পুলিশের সাথে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ ৪ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার নুরপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো একই উপজেলার সোনাপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২৫), রমেশ (২৪), সোহাগ (২৭) ও কানন (২৫)। এদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন একই উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ভাদু হোসেনের ও রমেশ কর্মকার বনমালী কর্মকারের ছেলে। এছাড়া কানন পিরোজপুর গ্রামের মনির হোসেনের এবং সোহাগ টুঙ্গি গোপালপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীবসহ ৬ পুলিশ সদস্য। নিহতরা সোনাপুর গ্রামের জোড়া খুন হত্যা মামলার আসামী বলে ধারণা করছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রাত আড়াইটার দিকে কিছু সন্ত্রাসীকে ধাওয়া করে পুলিশের একটি দল। নুরপুর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এ সময় উভয়ের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৪ সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীবসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব, এস.আই তারিক আজিজ, এস.আই রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নান, আব্দুল ওহাব, মিথান সরকার ও শহিদুল ইসলাম।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু এহসান রাজু জানান, রাত পৌনে ৪ টার দিকে গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। লাশের ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত ৫ মার্চ রাতে সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ ও আসাদুল ইসলামকে গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। দাবিকৃত ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে গ্রামের মাঠে তাদেরকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪ জন ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আবু এহসান রাজু জানান, রাত পৌনে ৪ টার দিকে গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন