সীতাকুন্ড উপজেলা সংবাদদাতা : পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন শিক্ষক রকিব উদ্দিন। তাই মনটা ভালো ছিলো না। এমননি সময়ে তার মক্তবে এসে উপস্থিত হলো ইফতেখারুল ইভান (৮) নামক এক ছাত্র। গত দু’দিন ইভান মক্তবে অনুপস্থিত ছিলো। আর যাবে কোথায় ? অশান্তির জেরে মনে জমে থাকা সমস্ত ক্ষোভ শিক্ষক ঝাড়লেন ছাত্র ইভানের উপর। একটি বেত দিয়ে তার পিঠ, হাত ও মাথায় বেধড়ক পেটালেন তিনি। কোমল মতি শিশুটিকে এত বেশি প্রহার করেছেন যে শেষ পর্যন্ত তার স্থান হলো হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, মাথায় আঘাতের কারণে হাসপাতালে দুই বার বমিও করেছে শিশুটি। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে তার অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে। ইভান ঐ গ্রামের মো. ইলিয়াছের পুত্র।
জানা গেছে, বাড়বকুন্ড মান্দারীটোলা গ্রামের মাওলানা ওবায়দুল হক জামে মসজিদ ফোরকানিয়া মাদরাসার ইমাম হাফেজ রকিব উদ্দিনের মক্তবে আরবী পড়ে ইভান। দুই দিন সে মক্তবে উপস্থিত ছিলো না। গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৭টায় সে পুনরায় মক্তবে যায়।
ইভানের বাবা মো. ইলিয়াছ প্রতিবেদককে জানান, একটি ছোট্ট শিশু মক্তবে অনুপস্থিত থাকলে শিক্ষক তাকে অন্যভাবে বুঝিয়ে বলতে পারে। কিন্তু তিনি যে নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করেছে তা অবিশ্বাস্য। শিশুটিকে এত বেশি মারধর করেছেন যে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সে হাঁটা চলাও করতে পারছে না।
এদিকে শিশু ছাত্র ইফতেখারুল ইভানকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ রকিব উদ্দিন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আসলে আমি পারিবারিকভাবে একটু টেনশনের মধ্যে ছিলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন