কামরুল আলম কিরণ
বাবা আমার বাবা
বাবা আমার তাঁরার দেশে
বলছে আমার মা,
সাজাই বসে খাবার টেবিল
বাবা আসে না।
সিলেট যাবে বললো বাবা
‘ল²ী সোনা মা,
আসবো ফিরে কাল দুপুরে
হল্লা করো না।
মায়ের ডাকে পড়তে বসো
পুতুল খেলা রেখে,
অংক শিখো সঠিক মতো
ভাইয়াটাকে ডেকে।
খাবার সময় খেয়ে নিও
সোনা আমার মাম,
আনবো তোমার পুতুল কিনে
হোক না যতই দাম।’
‘দেখো বাবা পড়ছি আমি
তোমার দেখা নাই,
কাঁদছে কেন মা মনিটা
কাঁদছে আমার ভাই।
চাই না তোমার ক্যাটবেরি আর
সিনড্রেলা পুতুল,
কোথায় তুমি ফিরে আসো
মানছি আমার ভুল।
আমাকে নাও তোমার সাথে
আসছে না যে ঘুম,
ঘুমের ঘরে আলতো করে
দাও না মুখে চুম।
কি হয়েছে বাবা তোমার
দেখছি তোমার ছবি,
আসো না ক্যান কালকে দেখো
আসবে কলি ববি।
প্রতীক্ষাতে আছি আমি
আসবে নাকি কাল?
আদর করে ছুঁইয়ে দিবে
তুলতুলে এ গাল।
সবাই আমায় মিথ্যে বলে
বাবা তুমি কই?
ছোট্ট মনে দুঃখ এতো
কেমনে বলো সই।
শুনছি বাবা মস্ত বড়
আর্মি অফিসার,
কীসের ভয়ে আমার বাবা
ফিরছেনাতো আর।
বাবা তুমি ভালোবাসো
মা মাটি এ দেশ,
তাই বলে কি এমন করে
হলে নিরুদ্দেশ?
জুলফিকার আলী
চৈতের রোদ
ফাগুন শেষে চৈত্র আসে
রোদেরও তাপ কি যে,
গরমে যায় সারা শরীর
ঘেমে ভিজে ভিজে।
মাটি ফাটে চৌচিরও মাঠ
শুকনো গলা কাঠ,
রোদের তাপে তৃষ্ণা বাড়ে
ফাটলো মাটি মাঠ।
অল্প কাজে ক্লান্তি আনে
দুপুরটা যে খাঁ খাঁ,
গাঁয়ের মানুষ আমবাগানে
নেয় হাতে হাতপাখা।
চৈতের রোদের খুব দাপটে
তাপে ফাটে মাটি,
বৃক্ষগুলো নেতিয়ে পড়ে
এলিয়ে দিয়ে গাটি।
তেহজীবা আফনান অর্থি
অনুভূতি
মাগো তোর বক্ষে মাথা রেখে ঘুমিয়েছি কত,
তবুও তোর বক্ষেই ভার দেই শত,
জগৎ লোভী হলেও তুই লোভী না,
তুই কখনই আদরের প্রতিদান চাস না,
কান্না থামাতে খেলিস কত খেলা,
বিনিময়ে আমি শুধুই দিলাম অবহেলা।
কিছুই করিনি আবীরমাখা করতে তোর বেলা।
তবুও সর্বদাই দিয়ে গিয়েছিস ক্লান্তহীন হাসি,
কখনও বলিনি, আজ তোকে ভালোবাসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন