শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

নভেম্বরে বাংলাদেশে সিপিএ সম্মেলন : স্পিকার

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের স্পিকার কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ সিপিএ এর সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজনের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আরো সফলভাবে সিপিএ সম্মেলন আয়োজনে সক্ষম হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং ও পার্লামেন্টস ফর নিউক্লিয়ার নন- প্রোলিফারেশন এন্ড ডিসআর্মামেন্ট (পিএনএনডি) এর প্রতিনিধি দল সংসদে ভবনে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন তিনি। এ সময় তারা আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলি সফল আয়োজন ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার নিরোধ এবং নিরস্ত্রীকরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি সফলভাবে আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ সত্যিই গর্বিত। এ এসেম্বলির বড় প্রাপ্তি হচ্ছে এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানের এসেম্বলি আয়োজন করার সামর্থ্য যে বাংলাদেশের আছে বিশ্ব পরিমন্ডলে তা অবগত করা। তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ ও স্বাধীন কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়েছে যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা দানে ভূমিকা রাখবে। স্পিকার বলেন, ঢাকা ঘোষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য কমানো, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা আইপিইউ-এর কার্যক্রমকে সকল দেশের মানুষের কল্যাণে আরো গতিশীল করবে।
আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির সফল আয়োজনের জন্য স্পিকার ও ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। সাক্ষাতকালে পিএনএনডি-এর প্রতিনিধি দলের প্রধান মনি শংকর আয়ার বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব বিনির্মাণে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এজন্য তিনি বিশ্বের সকল দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অস্ত্র প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করে না, জনগণের কল্যাণে বিশ্বাস করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য অন্যতম পূর্বশর্ত বিশ্ব শাস্তি প্রতিষ্ঠা। রাজনৈতিক অঙ্গীকার অর্থনৈতিক ভীতকে শক্তিশালী করতে পারে। বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিবাচক কর্মসূচীসহ বিশ্বের সকল দেশের সংসদসমূহ সোচ্চার হলে শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। আর তখনই পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচী সফল হবে। অন্যান্যের মধ্যে ব্রিটেন, জাপান, ভুটান ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মইন উদ্দীন খান বাদল এমপি, ডাঃ দীপু মনি এমপি, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি, সাবিনা আক্তার তুহিন এমপি, মাহজাবিন খালেদ এমপি, কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, মোঃ ফখরুল ইমাম এমপি এবং মাহজাবিন মোর্শেদ এমপি অংশ নেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন