শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হাসিনার ভূমিকার প্রশংসায় প্রণব

প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:১৬ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৭

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রতিবেশী দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
সফরের তৃতীয় দিন রোববার ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন শেখ হাসিনা, যার সরকারি বাড়িতে এবার আতিথ্য নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার অনেক আগে থেকে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে প্রগাঢ় সম্পর্ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। তাকে দাদা সম্বোধন করে থাকেন তিনি।
অগাস্ট ট্রাজেডির পর শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের স্মৃতি তাদের রোববারের বৈঠকেও উঠে আসে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা হিসেবে প্রণব মুখার্জির অবদানও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য প্রণব মুখার্জি ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’য় ভূষিত করা হয়।
বিয়ের সূত্রে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। কয়েক বছর আগে তার স্ত্রীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি।

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার উদোগেরও প্রশংসা করেন প্রণব মুখার্জি।
শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের যেসব বিষয়ে মতৈক্য ও চুক্তি-সমঝোতা হয়েছে, সেসব নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
এই বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার সম্মানে নৈশভোজ দেন প্রণব মুখার্জি; তাতে ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যোগ দেন। নৈশভোজের আগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখেন তারা।
শেখ হাসিনার এবারের দ্বিপক্ষীয় সফরকে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সরকার প্রধান হিসেবে তিনি থাকছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে, যা বিরল ঘটনা।
শনিবার শীর্ষ বৈঠকের পর রোববার আজমির শরিফ জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সফরের তৃতীয় দিন শুরু করেন শেখ হাসিনা। বিকেলে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তার সঙ্গে দেখা করেন।
সফর শেষে সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Montu ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৩৮ পিএম says : 0
Thanks
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:২৫ পিএম says : 0
সংবাদের উপরেই ছবিটা একটা বিশেষ সংবাদ তুলে ধরেছে। আমি সুন্দর ভাবে একের ভিতর তিন সংবাদ পরিবেশন করার জন্য ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক বাহাউদ্দিনকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। তিনি শিরনাম দিয়েছেন “সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হাসিনার ভূমিকার প্রশংসায় প্রণব” ছবিতে দেয়েছেন সোনিয়া গান্ধীর সাথে মানে কংগ্রেসের সাথে। রাষ্ট্রিয় অতিথি ভবন, আবার বিরুধি দল, আবার সরকার ও বিরুধি দল একই কাতারে। তার এই পারদর্শি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা কবে গোলামীর লেবাস ফেলে প্রকৃত স্বাধীন বাঙলার লেবাস গায়ে চড়াবে সেই আশায় আশায় এতগুলো বছর চলেগেল তারপরও সেই ছেলের দেখা পেলাম না। তাই বলে আসছি এবং বলছি কবির একটা লাইন, আমাদের দেশে কবে আসবে সেই ছেলে…… এখন পাঠকরাই তাদের মেধা দিয়ে বুঝে নিক ভারতের রাজনীতি, ভারতের প্রজ্ঞা, ভারতের ইতিহাস, ভারতের স্বদেশী মনোভাব, ভারতের দেশপ্রেমের নজির। আমার যা বুঝার আমি বুঝেছি সম্পাদক যা বুঝাবার বুঝিয়েছেন এখন পাঠদের পালা তারাও তাদের মত করেই বুঝে নিবেন এটাই আমার বিশ্বাস। আমি চাই বাঙ্গালী মুসলমানরা পরনিন্দা বন্ধ করে নিজের মঙ্গল কিভাবে হয় সেদিকে নজর দিক এবং সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলুক। আর যে নিজেকে গড়তে পারে সে তার সন্তানদেরকেও গঢ়তে পারে। আর যারা সন্তানদের গড়তে পারে তারা প্রতিবেশিদেরকেও গড়তে পারে আবার তারা দেশকেও গড়তে পারে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে শিক্ষার ক্ষমতা দিন। আমীন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন